২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকারের স্লোগান ছিল 'আচ্ছে দিন আসছে'। বিগত ৯ বছরে ৪ কোটি মানুষ মাথার উপর ছাদ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ কোটি মানুষ পেয়েছেন শৌচালয়। উজ্জ্বলা যোজনা আসার পর কাউকে আর উনুনে রাঁধতে হচ্ছে না। চলছে স্কিল ইন্ডিয়া, মেক-ইন-ইন্ডিয়ার মতো অজস্র প্রকল্প। সন্ত্রাসী হামলার প্রত্যুত্তর হিসেবে এদেশ সাক্ষী থেকেছে বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের। নিরাপত্তা হোক বা কৃষি, কর্মসংস্থান হোক বা দারিদ্রতা দূরীকরণ-বিগত ৯ বছরে কীভাবে এল সেই 'আচ্ছে দিন'? তা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদন ।
'সাফল্যের ৯ বছর'-৬
মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৯ বছরে ভারতবর্ষের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)। ১৪০ কোটি মানুষের দেশে করোনা মোকাবিলা করা ছিল যথেষ্টই চ্যালেঞ্জের কাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেখানে সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে মোদি সরকার। রিপোর্ট বলছে, এখনও অবধি ২২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছেছে সাধারণ মানুষের কাছে। ২০১৮ সালে মোদি সরকার চালু করে আয়ুষ্মান ভারত। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জন আরোগ্য যোজনা হল পৃথিবীর বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা স্কিম। এর আওতায় ২২ কোটি মানুষ সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে। সরকার চালু করেছে ই-সঞ্জীবনী প্রকল্প, যা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন দিশা দেখিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০ কোটি মানুষ তাঁদের বাড়ির দরজায় স্বাস্থ্য পরিষেবা পাচ্ছেন।
মোদি সরকারের জমানায় সারা দেশে চালু হয়েছে ৯,০০০ জন ঔষধি কেন্দ্র, যা দেশের ৭০০ জেলাতে রমরমিয়ে চলছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাচ্ছেন মানুষজন। মোদি সরকারের জমানায় চালু হয়েছে ইন্দ্রধনুস প্রকল্প, যেখানে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিশু এবং দেড় কোটি গর্ভবতী মহিলাকে বারোটি রোগ প্রতিরোধের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ডাক্তারি পড়াশোনার ক্ষেত্রেও নতুন মোড়ের সন্ধান মিলেছে মোদি জমানায়। বহু সরকারি কলেজ স্থাপন যেমন হয়েছে, তেমনই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির উচ্চ ফি এবং আসন ভর্তিতে দুর্নীতি কমানো গেছে গত ৯ বছরে। মোদি জমানায় গত ৯ বছরে অনেক রাজ্যে তৈরি হয়েছে এইমস এবং পাশাপাশি নতুন মেডিক্যাল কলেজ। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে অসমে প্রথম স্থাপিত হয়েছে এইমস।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, মোদি (PM Modi) জমানায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কী কী নতুন বদল এসেছে
১) আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় সারা দেশে হাসপাতালগুলিতে আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি।
২) আয়ুষ্মান ভারতের ১.৫৯ লক্ষ সেন্টার তৈরি হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
৩) ৯,৩০৪ টি জন ঔষধি কেন্দ্র চলছে দেশের ৭০০ রও বেশি জেলায়। যেখানে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ছাড়ে ওষুধ পাচ্ছেন মানুষজন।
৪) মিশন ইন্দ্রধনুস প্রকল্পে ৫.৬৫ কোটি গর্ভবতী মা এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।
৫) বিগত ৯ বছরে দেশে স্থাপিত হয়েছে ১৫টি নতুন এইমস এবং ২২৫টি মেডিক্যাল কলেজ।
৬) করোনা মোকাবিলায় ২২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পন্ন হয়েছে সারা দেশ জুড়ে।
৭) ৩৭ কোটি মানুষকে আয়ুষ্মান ভারত যোজনায় আনা হয়েছে।
৮) সাধারণ মানুষের ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি লাভ হয়েছে জন ঔষধি কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে। যেখানে জনগণ অনেক কম মূল্যে জীবনদায়ী ওষুধ পেয়েছেন।
৯) ২০১৪ সালের পর থেকে সারা দেশে মেডিক্যালে আসন বাড়ানো হয়েছে ৬৯ হাজার ৬৬৩টি।
১০) করোনাকালীন সময়ে ২০২০ মার্চ পর্যন্ত ১৪ টি ল্যাবরেটরি ছিল করোনা পরীক্ষার জন্য, এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩,৩৯০ টি।
১১) করোনার সময় প্রতিদিন ২০ লক্ষ করে পিপিই কিট তৈরি করতে পেরেছে সরকার।
১২) মার্চ ২০২০ অবধি সারা দেশে আইসিইউ বেড ছিল ২,১৬৮টি, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার।
আরও পড়ুন: বার্ষিক ৭ লাখ আয় করমুক্ত, কমেছে বাড়ি-গাড়ির ঋণে সুদের হার! খুশি মধ্যবিত্তরা
আরও পড়ুন: ৯ বছরে ৭টি আইআইটি স্থাপন, কোটির ওপর যুবককে প্রশিক্ষণ মোদি সরকারের!
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়েছে তিন তালাক, মোদি সরকারের আমলে মহিলাদের জন্য অজস্র প্রকল্প
আরও পড়ুন: দুধ উৎপাদনে শীর্ষে ভারত, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার আওতায় ১১ কোটি মানুষ!
আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের
চলবে....
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours