Shinzo Abe: খুনের লক্ষ্যেই বন্দুক বানানো! অকপট স্বীকারোক্তি আবের আততায়ীর

নারা শহরেরই বাসিন্দা টেটসুয়া ইয়ামাগামি জাপানের ম্যারিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স-এর প্রাক্তন সদস্য।
tet
tet

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরত্ব ছিল মাত্র ১০ ফুট। আগে থেকেই পুরো ছক কষে শিনজো আবের প্রচারসভায় গিয়েছিল আততায়ী। পরিকল্পনামাফিক কাজ। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়নি। আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারালেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Japans Former Prime Minister) শিনজো আবে (Shinzo Abe)। উদিত সূর্যের দেশে শুক্রবার ছিল এক ভয়ঙ্কর দিন। জাপানের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নারা শহরেই এক কর্মসূচিতে ভাষণ দিচ্ছিলেন শিনজো। সে সময়ই গুলি চালায় ওই আততায়ী। গুলি চালানোর পর পালানোরও চেষ্টা করেনি সে। আততায়ীর নাম টেটসুয়া ইয়ামাগামি। 

আরও পড়ুন: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রীআরও পড়ুন: ব্যথিত মোদি! এভাবে ছেড়ে গেলেন বন্ধু আবে, শোকাহত প্রধানমন্ত্রী

বর্তমানে নারা নিশি পুলিশ স্টেশনে জেরা করা হচ্ছে শিনজো-র খুনিকে। জেরায় তার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, খুন করার উদ্দেশ্যেই সে গুলি চালিয়েছিল। তদন্তকারীদের টেটসুয়া জানিয়েছে, শিনজোর প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল সে, তাই তাঁকে হত্যার ছক কষেছিল। নিজের বানানো শটগান বন্দুক দিয়েই গুলি চালিয়েছিল ৪১ বছরের টেটসুয়া। নারা শহরেরই বাসিন্দা টেটসুয়া ইয়ামাগামি জাপানের ম্যারিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স-এর প্রাক্তন সদস্য।  উদ্ধার করা হয়েছে ঘাতক বন্দুকও।

আরও পড়ুন: জীবন-মৃত্যুর লড়াই শেষ! নিহত জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে

যুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ৮ বছর ও তারও আগে ২০০৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০২০-এর অগাস্টে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন আবে। পরে তিনি জানান, আলসারেটিভ কোলাইটিসের জন্য চিকিৎসা চলছে তাঁর। দীর্ঘস্থায়ী এই পেটের রোগের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। বরাবর অন্য দেশের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করায় তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আবে তাঁর ট্রেডমার্ক ‘অ্যাবেনোমিক্স’ নীতির মাধ্যমে জাপানি অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনাকে 'জঘন্য' আখ্যা দিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন,"এই ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। এ ধরনের হামলা সহ্য করা হবে না।" 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles