মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। ১৪ জুন থেকে ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল বর্ষীয়ান পরিচালককে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে তাঁর জীবনাবসান হয়। বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি যুগের অবসান ঘটল।
১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি, তৎকালীন পূর্ববঙ্গের বোগরায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। পড়াশোনা সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল মিশন কলজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে সিনেমার বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু করেন। কিন্তু, তাঁর নজর ছিল পরিচালনায়৷ পরবর্তীকালে তাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন।
আরও পড়ুন: কিশোর কুমারের চারটি বিয়ে! এই বিষয়ে কী বললেন তাঁর পুত্র অমিত কুমার
শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে তৈরি করেছিলেন যাত্রীক নামে একটি সংস্থা। এই যাত্রীকের ব্যানারেই ১৯৫৯ সালে তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় প্রথম মুক্তি পেল উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত 'চাওয়া পাওয়া'৷ তবে তাঁকে প্রথম জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় ১৯৬২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি 'কাঁচের স্বর্গ'৷
এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছেন তরুণ মজুমদার। এ ছাড়াও রয়েছে ৭টি বিএফজেএ পুরস্কার, ৫টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড৷ পদ্মশ্রী সম্মানেও সম্মানিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিলীপ কুমারের স্মৃতিতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সায়রা বানু
কিংবদন্তির প্রয়াণে শোকাহত টলিউড৷ বর্ষীয়ান চিত্র পরিচালকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন পরিচালক গৌতম ঘোষ থেকে শুরু করে অভিনেতা প্রসেনকিৎ চট্টোপাধ্যায়। গৌতম ঘোষ বলেছেন, 'আমরা অভিভাবক হারালাম। চল্লিশ বছর ধরে ব্যক্তিগত পরিচয়। শিক্ষিত বাঙালি সমাজের জন্য পরিচ্ছন্ন ছবি নির্মাণ করেছেন। আমরা আর ওরকম ছবি পাব না। তাঁর ছবি বাঙালি আপন করে নিয়েছিল। হলভর্তি করে লোক, তিনটে-চারটে করে শো।' শোকপ্রকাশ করেন অভিনেতা প্রসেনকিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। বললেন, 'শেষ মানুষ যাঁকে নিজে আমি ব্যক্তিগত ভাবে গুরু মানি, তিনি তরুণ মজুমদার।'
+ There are no comments
Add yours