মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ জুলাই রবিবার পালিত হতে চলেছে বখরি ইদ বা ইদ-আল-আধা। মুসলিম সমাজের প্রধান দুটি উত্সবের অন্যতম হল এই বখরি ইদ। একে কুরবানির ইদও বলা হয়ে থাকে। এবছর ইদে খোলা রাস্তায় বা জনসমক্ষে কুরবানি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ইমামরা। জুম্মার নমাজের পর তাঁরা এই আর্জি রাখেন সাধারণ মানুষের কাছে। কুরবানির কোনও ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করারও আবেদন রাখা হয়েছে। ইমামদের তরফে বলা হয়েছে, দেশের আইন মেনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে কুরবানি দেওয়াটাই প্রকৃত ইসলামের কাজ। এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যা অন্যের অস্বস্তির কারণ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম ও শেষ মাস ধুল হিজার দশমতম দিনে পালিত হয় ইদ-উল-আধা। আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই উত্সব পালন করেন। গোটা বিশ্বের মুসলিমরা এদিন নতুন জামাকাপড় পরে, ভালো ভালো রান্না করে, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে এই দিনটি কাটান। ইদের প্রার্থনার পরেই কুরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। কুরবানি দেওয়া পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করেন মুসলিমরা। একটা ভাগ গৃহস্থ নিজে রাখেন, অন্য ভাগে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ভাগ করে দেন এবং তৃতীয় ভাগটি দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।
বখরি ইদে ছাগল, উট বা অন্য কোনও পশুকে বলি দিয়ে সেই মাংস গরীবদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিজের প্রিয় কিছু উত্সর্গ করাই হল কুরবানির ইদের মূল কথা। বকরি ইদ পালনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় মুসলিম ধর্মের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হজযাত্রা। আল্লাহের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস প্রদর্শনের উত্সব এটি। সত্যের পথে থাকতে সবকিছুরই বলিদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তাই বকরিদের কুরবানির মাধ্যমে দেওয়া হয়। ইদের আগে মানুষের মধ্যে সেই ত্যাগের বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন দিল্লির ইমামরা।
+ There are no comments
Add yours