মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১২০ কিলোমিটার বেগে ছুটছিল গাড়ি। হঠাতই ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা। আর এক ধাক্কাতেই সব শেষ। মুম্বইয়ের পালঘরে ভয়ংকর গতির বলি হয়েছেন শিল্পপতি সাইরাস মিস্ত্রি (Cyrus Mistry)। গাড়ি দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের ওয়ার্লি শ্মশানে। এদিকে, সাইরাস মিস্ত্রির ময়নাতদন্ত রিপোর্টে (Cyrus Mistry Post Mortem Report) উঠে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী ভাবে মৃত্যু হয়েছিল টাটা গ্রুপের এই প্রাক্তন চেয়ারম্যানের তা জানতে সাত জনের একটি ফরেন্সিক টিম তদন্ত চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাড়ির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি, সিট বেল্ট না পরায় প্রাণ গেল সাইরাসের?
ফরেন্সিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত্যুর অন্যতম কারণ ত্রুটিপূর্ণ ব্রিজ। এছাড়াও তীব্র গতিতে গাড়ি চালানোও মৃত্যুর অন্যতম কারণ। সিট বেল্ট পরে ছিলেন না সাইরাস মিস্ত্রি।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, গাড়ি সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মারায় ভয়ংকর ঝাঁকুনি অনুভব করেন যাত্রীরা। আর তাতেই মাথায় গুরুতর চোট পান সাইরাস মিস্ত্রি। যার জেরে তীব্র রক্তক্ষরণ শুরু হয় তাঁর। পাশাপাশি বুক, ঘাড় এবং থাইতেও একাধিক হাড় ভেঙে যায় সাইরাসের। ফলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সাইরাসের মতো জাহাঙ্গির পাণ্ডোলেরও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। তাঁর দেহে এবং মাথায় একাধিক অঙ্গে গুরুতর আঘাত ছিল ৷ চিকিৎসকদের দাবি, এরকম আঘাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হওয়া অস্বাভাবিক নয়৷
ইতিমধ্যেই আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই যাওয়ার যে হাইওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র ৯ মিনিটে ২০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছিল সাইরাস মিস্ত্রির ওই মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িটি। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বিখ্যাত চিকিৎসক অনিতা পাণ্ডোলে। এই মুহূর্তে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি ও তাঁর স্বামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা সিট বেল্ট পরে থাকলেও পিছনের আসনে থাকা সাইরাস মিস্ত্রি এবং জাহাঙ্গির পাণ্ডোলে সিটবেল্ট পরেননি। চরম ঝাঁকুনির মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি আহত হন পিছনের দু'জন যাত্রীই। এছাড়াও গাড়ির দ্রুতগতি এই ঘটনার মূল কারণ বলে জানিয়েছে পালঘর থানার পুলিশ। গাড়িটি একের পর এক সিগন্যাল ভেঙেছে বলেও সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে।
+ There are no comments
Add yours