Lakhimpur Kheri: ‘‘কাল যাদের চোখে ছিল জল, আজ…’’, লখিমপুর খেরিকাণ্ডে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য মালব্যর, নিশানায় কারা?

‘‘এমন শাস্তি দেওয়া হবে যা দেখে অপরাধীদের পরবর্তী প্রজন্মও শিউরে উঠবে...’’, প্রতিশ্রুতি যোগী প্রশাসনের
1090720-lakhimpur-case-1
1090720-lakhimpur-case-1

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সীমান্ত লাগোয়া জেলা লখিমপুর খেরি (Lakhimpur Kheri)। দুই দলিত নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় সরগরম রাজনীতির ময়দান। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপি (BJP) শাসিত যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছিল কংগ্রেস ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু অতি দ্রুত বদলে গেল ছবিটা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হল অভিযুক্তেরা।

এই ঘটনায় দ্রুততার সঙ্গে এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। অভিযুক্তরা হল— ছোটু, জনেইদ, সোহেল, হাফিজুল, কারিমুদ্দিন ও আরিফ। তার পরেই বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে, তাদের পরিচয় জানার পরই বিরোধীরা চুপ। এটা বোঝার বিষয়। কাল যাঁদের চোখে জল ছিল, আজ তাঁরা কি বলবেন?’


৬ অভিযুক্ত ছোটু, জনেইদ, সোহেল, হাফিজুল, কারিমুদ্দিন ও আরিফ...

আরও পড়ুন: লখিমপুর খেরিতে ধর্ষণ, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হল দুই দলিত কন্যাকে, অভিযুক্ত ৬ মুসলিম যুবক

গতকালই, উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে তাদের পরবর্তী প্রজন্মও শিউরে উঠবে। এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, দোষীদের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে, যাতে আগামী দিনে এই ধরনের ঘৃন্য কাজ করার আগে প্রত্যেকে দু’বার ভাববে। ন্যায়বিচারের পাশাপাশি নির্যাতিতাদের পরিবারকে ২৫ লক্ষ টাকা আথির্ক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশে সরকার। পাশাপাশি নাবালিকাদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেছেন, এক মাসের মধ্যে দোষীদের যাতে সাজা দেওয়া যায়, তার জন্য দ্রুত গতিতে তদন্ত শেষ করা হবে। আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গোটা বিষয়টি তাঁর নজরদারিতে থাকছে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

আরও পড়ুন: আজাদকে প্রাণনাশের হুমকি জঙ্গিগোষ্ঠীর, 'রাজনৈতিক গিরগিটি' বলে কটাক্ষ

জেরায় অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন জানিয়েছে, দুই বোন তাদের বিয়ে করার জন্য জোরাজুরি করছিল। তখন রাগের বশে গলা টিপে খুন করে তারা। তারপর ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে গাছিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। এমনই দাবি পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমনের। তিনি আরও বলেন, ‘ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles