মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের এনআরসির দাবিতে সরব রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মণ্ডলের গড় বালুরঘাটের দলীয় জনসভায় আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, "এনআরসি না হলে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে ধরে রাখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগু হবেই।"
কী বললেন শুভেন্দু?
মঙ্গলবার জনসভার মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-র বিরোধিতা করেন। সিএএ মানে কাউকে তাড়িয়ে দেওয়া নয়। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বিজেপির কোনও শত্রুতা নেই। কিন্তু যারা কাঁটাতার টপকে আসছেন, গরু-ফেন্সিডিল পাচার করার জন্য আসছেন, লাভ জিহাদের জন্য আসছেন, ধর্মান্তকরণের জন্য আসছেন, তাঁদের আটকাতে ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন। নইলে এই বর্ডারের জেলাগুলো থাকবে না। আর যে ভাবে ডেমোগ্রাফি বদলাচ্ছে, বর্ডারের জেলাগুলো বাঁচবে না। ৭২টা জায়গায় বিএসএফের চৌকি করতে দেননি মমতা বন্দোপাধ্যায়।"
তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, "কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহবলেছিলেন, সিএএ শুধু আইন করার জন্য করা হয়নি, প্রয়োগও করা হবে। সিএএ কার্যকর হবেই। লাভ জিহাদ ও ধর্মান্তকরণের বিরুদ্ধে কঠোর আইন চাই। এদেশ হিন্দুদের একমাত্র আশ্রয়স্থল। এই দেশের দুর্বল হলে চলবে না। তাহলে আফগানিস্তান-ইউক্রেন হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না।"
এছাড়াও এদিন মালদহ জেলার গাজোলে কর্মীসভায় তৃণমূলের দিকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, "অধিকাংশ জায়গায় স্বচ্ছ ভারত অভিযানের টাকা পৌঁছয়নি। তৃণমূলের নেতারা পায়খানাও খেয়ে ফেলেছে। আর দু’চারটে যে শৌচালয়ের ঘর তৈরি হয়েছে সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা ঢুকে রয়েছেন। ওদের বের করতে পারবেন না। ভাঙতে হবে।"
আরও পড়ুন: গুজরাট-পাকিস্তান সীমান্তে স্থায়ী বাঙ্কার তৈরি করতে চলেছে ভারত
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, "ডাবল ইঞ্জিন সরকার আসছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া পার্টি তোমাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে। পঞ্চায়েত ভোটে ভালো করে পদ্মফুলে স্ট্যাম্প মেরে তাদের জবাব দিন। বলে দেবেন, দেশ বিরোধী, জেহাদি শক্তির কোনও স্থান দক্ষিণ দিনাজপুরে নেই। উত্তরপ্রদেশ থেকে বুলডোজার চলা শুরু হয়েছিল। আসাম, কোচবিহার হয়ে এই রাজ্যে ঢুকল বলে।"
তিনি (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, "প্রধানমন্ত্রী প্রান্তিক মানুষদের জন্য জাতীয় সড়ক, নতুন রেল লাইন বানিয়েছেন। নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। ২০১৮ সালে মালদায় প্রায় ২০টির বেশি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি জিতেছিল। তাই আগামী দিনে স্বচ্ছ দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours