মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার হাজার চারজন নাবালিকার বিয়ের খবর নথিভুক্ত হয়েছে। নাবালিকার বিয়ে রুখতে তাই এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে অসম (Assam) সরকার। জানা গিয়েছে, যে সব নাবালিকার বিয়ের (Child Marriage) খবর নথিভুক্ত করা হয়েছে, সে সব ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাবালিকা বিয়ে...
সম্প্রতি এক ট্যুইট-বার্তায় নাবালিকা বিয়ের এই তথ্য তুলে ধরেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি লিখেছেন, রাজ্যে নাবালিকার বিয়ে বন্ধে বদ্ধ পরিকর অসম সরকার। এতদিন পর্যন্ত ৪ হাজার ৪টি নাবালিকার বিয়ে নথিভুক্ত হয়েছে গোটা রাজ্যে। এই কেসগুলির ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। তিনি লিখেছেন, এ ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করি। মুখ্যমন্ত্রীর (Assam) শেয়ার করা তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, ধুবড়ি জেলায় সব চেয়ে বেশি নাবালিকার বিয়ের খবর মিলেছে।
Assam Govt is firm in its resolve to end the menace of child marriage in the state.
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) February 2, 2023
So far @assampolice has registered 4,004 cases across the state and more police action is likely in days ahead. Action on the cases will begin starting February 3. I request all to cooperate. pic.twitter.com/JH2GTVLhKJ
এই জেলায় এমনতর বিয়ে হয়েছে ৩৭০টি। হোজাই জেলায় বিয়ে হয়েছে ২৫৫ নাবালিকার। তার পরে রয়েছে উদালগুড়ি। সেখানে বিয়ে হয়েছে ২৩৫ নাবালিকার। সব চেয়ে কম নাবালিকার বিয়ে হয়েছে দিমা হোসা জেলায়।
আরও পড়ুুন: ‘আরএসএস ডানপন্থীও নয়, বামপন্থীও নয়, জাতীয়তাবাদী’, সাফ জানালেন দত্তাত্রেয়
প্রসঙ্গত, ১৯২৯ সালের আইন অনুযায়ী মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৪ ও ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ হলেই বিয়ের অনুমতি মিলত। ১৯৭৮ সালে সংশোধন করা হয় এই আইন। তার পরে মহিলাদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়স বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ বছর, পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছর। গুয়াহাটি শহরেও নাবালিকার বিয়ের সংখ্যা বাড়ছে বলেও গত সেপ্টেম্বরে খবর হয় সংবাদ মাধ্যমে। তখন জানা গিয়েছিল, ওই সময়ের কয়েক মাস আগে পর্যন্ত খোদ গুয়াহাটি শহরে বিয়ে হয়েছিল অন্তত ২৪ নাবালিকার। এর মধ্যে ১০টি ক্ষেত্রে অপহরণ, ৬টি ক্ষেত্রে প্রাক বিবাহ, পাঁচটি ক্ষেত্রে বিয়ের পরে এবং দুটি ক্ষেত্রে বিয়ের নামে পাচারের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। গত বছর এপ্রিল মাস থেকে ওই অভিযোগগুলি দায়ের হয়েছিল।
+ There are no comments
Add yours