মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিআরপি (TRP) জালিয়াতিকাণ্ডে ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল, সংক্ষেপে বিএআরসির (BARC) ভূতপূর্ব সিইও সুনীল লুল্লার বিরুদ্ধে জমা দেওয়া সিবিআইয়ের চার্জশিট গ্রহণ করল লখনউয়ের আদালত। এক আধিকারিকের কথায়, জালিয়াতি করে ইন্ডিয়া টুডের ভিউয়ারশিপ ২ নম্বর থেকে ৩ নম্বরে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জমা দেওয়া চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অভিযোগ, ইন্ডিয়া টুডের ভিউয়ারশিপ ডেটা জালিয়াতি করা হয়েছিল। এই জালিয়াতি করেছিল বিএআরসি, ২০২০ সালে।
লুল্লা...
লুল্লার নির্দেশেই টিআরপি দুই থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল তিনে। এই লুল্লা বিজনেস ডিসিশান নামে পরিচিত। সিবিআইকে উদ্ধৃত করে আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে টিআরপি জালিয়াতি হয়েছে দুটি স্তরে। ব্রডকাস্টারদের মাধ্যমে গৃহস্থালি স্তরে। যেসব বাড়িতে টিভি চ্যানেল রয়েছে, ওই চ্যানেলের যেখানে বার-ও-মিটারগুলি লাগানো থাকে, সেখানে এবং দর্শকদের একটি বিশেষ টিভি চ্যানেল দেখতে বলা অথবা মুম্বইয়ে বিএআরসির অফিস থেকে। এই অফিসের সার্ভারেই ভিউয়ারশিপ ডেটা দেখা যায়, বার-ও-মিটারের সাহায্যে। এই বার-ও-মিটারগুলি দেশের নির্দিষ্ট কিছু বাড়িতে ইনস্টল করা থাকে।
আরও পড়ুুন: এসএসসি গ্রুপ ‘ডি’ মামলায় ফের ২৮১৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালত জানিয়েছে, মৌখিক বিবৃতি এবং ফাইনাল রিপোর্টে যে নথিপত্র যুক্ত করা হয়েছে, তা থেকে প্রমাণ হয় যে বিএআরসির (BARC) ডেটায় জালিয়াতি করা হয়েছে। এটা করা হয়েছে সংস্থার মুম্বইয়ের অফিসে। অন রেকর্ড এর ডকুমেন্টারি প্রমাণও রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে লুল্লার নির্দেশেই সংস্থার অধঃস্তন কর্মীরা এটা করেছিলেন। ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল ওই জালিয়াতি হয়েছিল। আদালত এও জানিয়েছে, এটা করে বিএআরসি ইন্ডিয়া টুডের পজিশন দুই থেকে টেনে তিনে নামিয়েছে।
প্রসঙ্গত, টিআরপির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন চ্যানেল বিজ্ঞাপন পায়। তাই টিআরপি যে কোনও চ্যানেলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই টিআরপি কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সব মিলিয়ে মোট তিনটি টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে রেটিং কারচুপির অভিযোগ আনে মুম্বই পুলিশ। তার পরেই শুরু হয় তদন্ত।
+ There are no comments
Add yours