Tiljala Case: সন্তান পেতে তান্ত্রিকের নির্দেশে ‘শিশু-বলি’! নাবালিকা হত্যাকাণ্ডের জেরে ধুন্ধুমার তিলজলায়

মাথায় হাতুড়ির আঘাত, সারা শরীর সুচলো অস্ত্রে ক্ষতবিক্ষত। যৌন নির্যাতন, শেষমেশ শ্বাসরোধ করে খুন।
ChildAbuse
ChildAbuse

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গর্ভবতী স্ত্রীর গর্ভপাত ঠেকাতে তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশু বলি দিয়েছিল তিলজলা-কাণ্ডে অভিযুক্ত অলোক কুমার। জেরায় পুলিশকে একথাই জানিয়েছে অলোক। তিলজলায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের পর খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক কুমার সন্তানহীন। সন্তান লাভের আশাতেই সাত বছরের প্রতিবেশী শিশুকে খুন করেছে সে, দাবি পুলিশের। মাথায় হাতুড়ির আঘাত, সারা শরীর সুচলো অস্ত্রে ক্ষতবিক্ষত। শেষমেশ শ্বাসরোধ করে খুন। তিলজলাকাণ্ডে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে উঠে আসছে আরও বিস্ফোরক তথ্য।

সন্তান লাভের আশা

পুলিশ সূত্রে খবর, বিহারের এক তান্ত্রিক সন্তান লাভের জন্য অলোককে নরবলি দিতে বলেছিলেন। তার পর থেকেই নাকি তক্কে তক্কে ছিল বিহারের সমস্তিপুরের বাসিন্দা অলোক। স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্ত সন্তানহীন। তার স্ত্রী বার বার চেষ্টা করেও মা হতে পারেননি। তিন বার তাঁর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এর পরেই সন্তান লাভের আশায় বিহারের এক তান্ত্রিকের পরামর্শ নেয় অলোক। ওই তান্ত্রিককে ধরতে বিহারে যেতে পারে কলকাতা পুলিশের একটি দল।  খুনের অভিযোগের পাশাপাশি অভিযুক্ত অলোক কুমারের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও মামলা শুরু করেছে পুলিশ। 

তান্ত্রিকের কাণ্ড!

পুলিশ সূত্রে খবর অলোক জানিয়েছে, প্রথমে ওই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে সে। তার পর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে খুনের চেষ্টা করে সে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শিশুটিকে ধর্ষণও করে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে নাবালিকার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।  

আরও পড়ুন: নবরাত্রিতে উপবাস রাখছেন? সুস্থ, সতেজ থাকতে কী করবেন আর কী করবেন না

প্রসঙ্গত রবিবার সকালে তিলজলার ওই আবাসনের বাইরে ময়লা ফেলতে গেছিল সাত বছরের নাবালিকা। কিন্তু সে আর নিজের ফ্ল্যাটে ফেরেনি। এর পরেই শিশুটির খোঁজ শুরু করে বাবা-মা। কিন্তু শিশুটি বাড়ি না আসায় শেষে পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ বিষয়টি শুনে কোনও তৎপরতাই দেখায়নি। এর পরেই ওই ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসে। সেখানে দেখা যায়, ময়লা ফেলার পরে আবাসনের মধ্যে প্রবেশ করেছিল ওই নাবালিকা। কিন্তু নিজের ফ্ল্যাটে ঢোকেনি। তখনই সন্দেহ হয়, আবাসনের মধ্যেই অন্য কোনও একটি ফ্ল্যাটে রয়েছে সে। ওই আবাসনে মোট ৩২ টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রত্যেকটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অলোকের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। সন্ধ্যায় সেখান থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

তিলজলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তিলজলা থানায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ পাত্তা দেয়নি। আরও আগে পদক্ষেপ করলে হয়তো শিশুটিকে বাঁচানো যেত, দাবি প্রতিবেশীদের। রবিবার রাতে তিলজলা থানায় ঢিল ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। বিক্ষোভ সামলাতে লাঠিচার্জও করে পুলিশ। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles