মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায়ে ডিএ-র (DA Protest) দাবিতে এবার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। দিল্লির যন্তরমন্তরে কয়েকশো আন্দোলনকারী ১০ এবং ১১ এপ্রিল বকেয়া ডিএ-র দাবিতে ধর্না দেবেন। কলকাতায় শহিদ মিনারের নীচেও কর্মসূচি চলবে। যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ৫০০ জন সরকারি কর্মচারী হাওড়া রাজধানী আর শিয়ালদহ রাজধানী ধরে দিল্লি যাবেন। হাওড়া দিয়ে ২০০ জনের মতো যেতে পারেন। আন্দোলনের মূল নেতা ভাস্কর ঘোষও সম্ভবত হাওড়া দিয়েই যাবেন৷ যাত্রা চলবে আগামিকালও। রাজধানীতে ধর্না কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তাঁরা। একই সঙ্গে কেন্দ্রের নিয়ম মেনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা। রাষ্ট্রপতির কাছে নিজেদের ন্যায্য দাবির (DA Protest) কথা তুলে ধরবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, দিল্লি গিয়ে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে ডেপুটেশন দেবেন সরকারি কর্মচারীরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমতি
শহিদ মিনার চত্বরে টানা ৪৪ দিন ধর্নার পরেও সরকারের কাছ থেকে বকেয়া ডিএ (DA Protest) নিয়ে আশার আলো দেখতে পায়নি রাজ্য সরকারি কর্মীরা। অন্যান্য রাজ্যের মহার্ঘ্য ভাতার অঙ্ক তুলনায় বেশি হলেও এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তা কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় অনেকটাই কম। এই অভিযোগে শহিদ মিনারের নীচে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবি সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এক ছাতার তলায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মচারীরা। এবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই অনুমতি মেলার পরেই আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে এবার রাজধানী সফরের তোড়জোড় তুঙ্গে এরাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের একাংশের।
আরও পড়ুন: অচেনা সাজ! সুখোই-৩০ এমকেআই ওড়ালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
সম্প্রতি ডিএ (DA Protest) ইস্যু নিয়ে রাজ্যকে বিশেষ নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে যৌথ মঞ্চের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্য সরকারকে। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, "ডিএ আবেদন নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সরকারের সঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা শুরু হওয়া উচিত। আন্দোলনকারীদের তরফে ৩ জন থাকতে পারেন। সরকারের তরফে মুখ্যসচিব বা এই স্তরের আধিকারিক আলোচনায় থাকুন।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours