মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অসমে (Assam)। জানা গিয়েছে হাইলাকান্দির বাসিন্দা সুকুর আলির তার সম্পর্কে এক নাতনিকে গত জুন মাসে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।
২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজত সুকুরের
গুরুতর এই অভিযোগে ১১ জুলাই মেয়েটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সুকুরকে। পাশাপাশি শিশু সুরক্ষা কমিশনও তার বিরুদ্ধে পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানায়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সুকুর আলিকে কোর্টে তোলা হলে বিচারক আপাতত তাকে ২১ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
অসমের (Assam) হাইলাকান্দিতে হিন্দু নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন
অন্যদিকে হাইলাকান্দিতে ধর্ষণ ও খুনের আসামি জুবের আহমেদ এখনও পলাতক। জুবেরের গ্রেফতারির দাবিতে ১০ জুলাই হাইলাকান্দিতে বজরঙ দল এবং অন্যান্য সংগঠন এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করে। দিন সাতেক আগে জুবেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে ১৩ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণের, পরে মেয়েটি হাসপাতালে মারা যায়। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সমগ্র হাইলাকান্দি। দোষীর গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তায় নামে বিভিন্ন সংগঠন। জানা গিয়েছে, গত ৫ জুলাই জুবের তার দুই সহযোগী জাবির এবং আনসারকে সঙ্গে নিয়ে ২ জন হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে। এরপর অভিযোগ কাছাড়ের এক চা বাগানে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা এক নাবালিকাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। ওই নাবালিকাকে পরে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। এরপর মেয়েটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে এবং তাকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানেই সে মারা যায়। মৃত্যুর আগের জবানবন্দিতে নাবালিকা বলে, জুবের তার পরিচয় একজন হিন্দু হিসেবে দিয়েছিল এবং নিজের নাম বলেছিল রাহুল। জানা গিয়েছে জুবের বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। পুলিশ তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জুবেরের ফোনের লোকেশন মিজোরামে পাওয়া গিয়েছে। অসম (Assam) পুলিশ মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ চালাচ্ছে। ৬ জুলাই থেকে জুবেরের গোটা পরিবারের খোঁজ মিলছেনা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours