মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের এর্নাকুলাম জেলার কালামাসেরি এলাকায় প্রার্থনা সভায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণের (Kerala Blasts) ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। সোমবার ভোরে মৃত্যু হয়েছে বছর বারোর লিবিনার। এ নিয়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই প্রার্থনা সভায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩। জখম হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। তদন্তকারীদের পাশাপাশি কেরল পুলিশেরও দাবি, ওই প্রার্থনা সভায় আইইডি ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্ষেপে এনআইএ।
একাধিক সংস্থার তদন্ত
ঘটনার নেপথ্যে হামাসের উসকানি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তিনদিনের এই প্রার্থনা সভা শুরু হয়েছিল শুক্রবার। সেদিনই মুসলিম জঙ্গি সংগঠন হামাসের প্রাক্তন নেতা ভার্চুয়ালি প্যালেস্তাইনের পক্ষে ভাষণ দিয়েছিল। বিস্ফোরণ ঘটে রবিবার। সেদিনই ছিল প্রার্থনাসভার শেষ দিন। বিস্ফোরণের নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। এনআইএ-র পাশাপাশি তদন্ত করছে এনএসজিও। এই সংস্থা ব্ল্যাক ক্যাট নামেই পরিচিত। কেরল সরকারের নির্দেশে ২০ সদস্যের একটি দলও তদন্ত করছে।
নাড্ডার নিশানায় কেরল সরকার
ঘটনায় (Kerala Blasts) কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে একহাত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি বলেন, “আমূল রাজনৈতিক পরিবর্তনের পক্ষপাতী হওয়ায় কেরলে এমন বিস্ফোরণ ঘটছে।” সোমবার কালামাসারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, “মৌলবাদ ও মৌলবাদীদের সঙ্গে বারংবার আপোস করছে কেরল সরকার। তার জেরে এমন ঘটনা ঘটছে।”
আরও পড়ুুন: কেরল বিস্ফোরণের নেপথ্যে হামাসের উসকানি! তদন্ত দাবি বিজেপির
কেরলের ঘটনার দায় স্বীকার করে রবিবারই স্থানীয় থানায় আত্মসমর্পণ করেছে এক ব্যক্তি। ডমিনিক মার্টিন নামের ওই ব্যক্তির দাবি, সে জিহোবা সাক্ষী (এই গোষ্ঠীই প্রার্থনা করছিল) নামে খ্রিস্টানদেরই একটি গোষ্ঠীর সদস্য। তবে তার বক্তব্য কতটা সত্য, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এদিকে, ঘটনার (Kerala Blasts) জেরে দিল্লি এবং বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেশজুড়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের আশঙ্কায় জনবহুল এলাকাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বাজার সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে মুম্বইও।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours