Kota Student Suicide: ‘‘মা-বাবা, এটা লাস্ট অপশন…’’, জয়েন্টের দুদিন আগে কোটায় আত্মহত্যা পরীক্ষার্থীর

Rajasthan: "আমি পারলাম না, হেরে গেলাম" রাজস্থানের কোটায় আত্মঘাতী শিক্ষার্থী
student-suicide-in-kota-rajasthan
student-suicide-in-kota-rajasthan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরীক্ষার বাকি ছিল আর মাত্র দু’দিন। কিন্তু তার আগেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল ১৮ বছর বয়সি এক ছাত্রী (Kota Student Suicide)। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগে বাবা-মা’র উদ্দেশে একটি মর্মান্তিক চিঠি লিখে রেখে গিয়েছেন ওই ছাত্রী। ৩১ জানুয়ারি জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনের পরীক্ষা। আর তার ঠিক দুদিন আগে, সোমবার (২৯ জানুয়ারি), রাজস্থানের কোটা জেলায় আত্মঘাতী হলেন আরও এক শিক্ষার্থী। কোটার এক কোচিং সেন্টারে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। পরীক্ষার চাপ সহ্য করতে না পেরেই এই শিক্ষার্থী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। 

মর্মান্তিক চিঠি

নীহারিকা নামে ওই পড়ুয়া জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেনসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তার জন্যই কোটার শিক্ষা নগরী এলাকায় ঘরভাড়া নিয়ে থাকছিলেন তিনি। সেই ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। তদন্তের সময় পুলিশ একটি সুইসাইড (Kota Student Suicide) নোট পায়। সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী মেয়েটি লিখেছে, “মামি ও পাপা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম দিতে পারব না। তাই, আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছি। আমি একজন হেরে যাওয়া মানুষ। আমার মৃত্যুর কারণ আমিই। আমি সবথেকে খারাপ মেয়ে। সরি, মামি-পাপা। আমার কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না।”

আরও পড়ুন: আরও আধুনিক মেট্রো! কলকাতায় চালকবিহীন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ট্রায়াল রান সফল

কেন আত্মহত্যা

পরীক্ষার চাপ ও বাবা-মায়ের উচ্চকাঙ্ক্ষার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের অনুমান। নিজেকে খারাপ ছাত্রী (Kota Student Suicide) এবং এটাই শেষ পথ বলে লেখায় তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন অত্যধিক চাপ নিতে পারেনি এই উঠতি বয়সি পড়ুয়া। উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেই উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা ১৭-১৮ বছর বয়সি মহম্মদ জাইদ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। সে নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গতবছর কোটায় উচ্চশিক্ষার প্রশিক্ষণ নিতে আসা ৩০ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছিল। নিহারীকার মৃত্যু নতুন বছরের প্রথম মাসেই দ্বিতীয় আত্মহত্যা। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটায় কোচিং নেন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু প্রতি বছরেই একাধিক পড়ুয়া আত্মহত্যা করেন সেখানে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সরকারের পক্ষেও বারবার শিক্ষক, অভিভাবক সকলকে এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles