Weather Forecast: মে মাসের গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকে! কবে থেকে শুরু তাপপ্রবাহ?

ভেঙে যেতে পারে অতীতের সব রেকর্ড...
Summer
Summer

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তাপপ্রবাহে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল। দিন কয়েক আগেও সকাল ৮টা-৯টা থেকেই চাঁদিফাটা রোদে বাড়ি থেকে বেরনো দায় হয়ে উঠছিল। শনিবার থেকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বৃষ্টি নামায় তাও কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। কিন্তু ফের আশঙ্কার কথা শোনাল হাওয়া অফিস। শোনা যাচ্ছে, মে মাসে আবারও ভয়ঙ্কর গরম পড়তে চলেছে। ভেঙে যেতে পারে অতীতের সব রেকর্ড। তাপমাত্রাও ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করবে পূর্ব থেকে মধ্য ভারতের একাধিক রাজ্যে। হাওয়া অফিসের ব্যাখ্যা (Weather Forecast), পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে রাজস্থান, পাঞ্জাবের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়বে না। পারদ চড়লেও তা নেমে যাবে কিন্তু গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে। বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ডে চলবে ব্যাপক তাপপ্রবাহ। অর্থাৎ গরমে বাংলা টেক্কা দেবে রাজস্থানকেও।

 কবে থেকে আবার তাপপ্রবাহ?

এখন তাপমাত্রা কিছুটা কম হয়েছে। আপাতত মনোরম আবহাওয়ার পূর্বাভাস। নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে চলতি সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Forecast)। উত্তরবঙ্গে আবার বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তত ৩ মে পর্যন্ত এই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে। ১১-১২ মে পর্যন্ত বাংলায় তাপপ্রবাহের কোনও আশঙ্কা দেখছে না মৌসম ভবন। হাওয়া ঘুরতে পারে তার পর থেকেই। হয় বৈশাখের একেবারে শেষ লগ্নে, অথবা জ্যৈষ্ঠে। মে-র তৃতীয় ও চতুর্থ, দুই সপ্তাহেই দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার গড় স্বাভাবিকের উপরে থাকারই ইঙ্গিত। মৌসম ভবনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মে-র প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত গরমের বিশেষ বালাই থাকবে না। এক-দু’দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচেও নেমে যেতে পারে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য় ও পূর্বাঞ্চলে আগামী এক মাস তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলও এবার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি গরম আবহাওয়া পাবে বলেই জানানো হয়েছে। ফের একবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে উত্তর-পশ্চিম ও মধ্য়-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকই (Weather Forecast) থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

তাপপ্রবাহের প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও

পরিবেশ ও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রার ওঠানামার সঙ্গে দেশের অর্থনীতিতেও প্রভাব পড়ে। তাপপ্রবাহ এড়াতে সর্বক্ষণ ফ্য়ান, এসি চালানোর জন্য হঠাৎ করেই বাড়তে থাকে বিদ্যুতের চাহিদা। এরফলে ব্য়াপক চাপ পড়ে পাওয়ার গ্রিডগুলির উপরে এবং ব্ল্য়াকআউটের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। বহু মানুষকেই এই তীব্র গরমেও বাড়ি থেকে বের হতে হয় বলে, হিটস্ট্রোকে তাদের মৃত্যুর সম্ভাবনাও তৈরি হয়। শুধুমাত্র তাপমাত্রাই নয়, বাতাসে আর্দ্রতাও তাপপ্রবাহকে প্রাণঘাতী করে তোলে। আবার রাস্তাঘাটে লোকজন কমে যাওয়ায়, খুচরো ব্যবসায়ীদের বিক্রিতেও ভাটা পড়ে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles