Balurghat: আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে তছনছ, অভিযুক্ত ঠিকাদার, তৃণমূলেই গণ আন্দোলনের ডাক

জলের তীব্র গতিতে ইতিমধ্যে বাঁধের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ধসে গিয়েছে। ফলে ফাটল ধরেছে আরও বেশ কিছু অংশে
Balurghat
Balurghat

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালু না হতেই বালুরঘাটে ভেঙে তছনছ আত্রেয়ী নদীর বাঁধ। আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজের অভিযোগ স্থানীয়দের। ঘটনা চাক্ষুষ করে দুর্নীতির অভিযোগ করে গণ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলারের। বালুরঘাট শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকরা এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। যদিও আতঙ্কের তেমন কিছু নেই বলে দাবি করেছেন কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা।

বাঁধে কী হয়েছিল ?

বাংলাদেশ থেকে ভারতে বয়ে আসা আত্রেয়ী নদীতে জলের সমস্যার কারণে চরম দুর্দশায় পড়েন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে আত্রেয়ীতে জলস্ফীতি থাকলেও খরার সময়েই মূলত সমস্যায় পড়েন ভারতীয় কৃষকরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Balurghat) সীমান্ত এলাকার কৃষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যা উপলব্ধি করে বর্ষার অতিরিক্ত জল ধরে রাখতে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপর বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। শহরের চকভবানী এলাকা থেকে ডাকরা পর্যন্ত আত্রেয়ীর বুক চিরে দীর্ঘ বেশ কিছুদিন ধরে শুরু হয়েছে সেই বাঁধ নির্মাণের কাজ। দিনরাত এক করে বিদ্যুৎ গতিতে চলেছিল কাজ। উঠে এসেছে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ। বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ না হলেও একপাশ খুলে দিয়ে চলছিল আত্রেয়ী নদীর জল বের করার কাজ। তীব্র জলের গতিতেই ইতিমধ্যে বাঁধের বেশকিছু অংশ ভেঙে ধসে গিয়েছে। ফলে ফাটল ধরেছে আরও বেশ কিছু অংশে। আর তা নিয়েই রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে ডাকরা এলাকার মানুষের মধ্যে।

স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

স্থানীয়দের অভিযোগ, অত্যন্ত নিম্নমানের কাজের জন্য ভেঙে বসে গিয়েছে নদীর বাঁধ। বড় বড় ফাটলের জেরে পাড় ভেঙ্গে যাবার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে এলাকায়। যা একপ্রকার প্রকাশ্যে আসতেই বাঁধের বড় বড় পাথর তুলে নিয়ে গিয়ে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করছে কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা। এর জেরে স্থানীয়রা (Balurghat) বলছেন ভাঙনের মুখে পড়েছে এলাকার বেশকিছু পরিবার। এলাকার বাসিন্দা পূর্ণিমা হালদার, নারায়ণী হালদার ও রথীন হালদার বলেন, বাঁধ নির্মাণে নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কাজের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ। আর যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে ফাটল আর ধস। এলাকার বেশকিছু বাড়ি ঘর নদীগর্ভে তলিয়ে যাবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

চেয়ারম্যান এবং শাসকদলের কাউন্সিলারের বক্তব্য

বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, এ ধরনের ঘটনা নিয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ তিনি হাতে পাননি। অভিযোগ পেলে পুরো বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে আতঙ্কের কথা শুনে অভিযোগ নিয়ে গণ আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার অনুশ্রী মহন্ত। তিনি বলেন, গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। বিষয়টি পুরসভার চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। সোমবার ঘটনা জানিয়ে সেচ দফতরকে লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন এলাকার কাউন্সিলার। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles