মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণে (Bangaon Blast) উড়ে গেল ১২ বছরের কিশোরের দেহ। বোমাটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে কিশোরের দেহ। সোমবার সাত সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার বক্সিপল্লি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম রাজু রায়। সে স্থানীয় একটি সাইকেল গ্যারাজে কাজ করত। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িতে সন্দেহে পুলিশ অসিত অধিকারী এবং বাপ্পা বিশ্বাস নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে, কী কারণে শৌচালয়ের মধ্যে বোমা রাখা হয়েছিল তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
কী করে ঘটনাটি ঘটল?
পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বাজি বিস্ফোরণে ভানু বাগ সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই ঘটনার পর সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ। জেলায় জেলায় শুরু হয় তল্লাশি। বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রচুর তাজা বোমা। পুলিশের সক্রিয়তার জেরে দুষ্কৃতীরা এখন বোমা বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। বনগাঁর বক্সিপল্লি এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীরা শৌচালয়ের মধ্যে বোমা লুকিয়ে রেখেছিল। সেখানেই এদিন সকালে রাজু শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। আচমকা বিস্ফোরণে (Bangaon Blast) তার মৃত্যু হয়।
কী বললেন মৃত কিশোরের বাবা?
মৃত কিশোরের বাবা প্রশান্ত রায় বলেন, ছেলে স্থানীয় একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করত। এদিন সকালে ও আমার সঙ্গে ছিল। আমি একটি দোকানে রুটি কিনতে গেলাম। ওই শৌচালয়ে আমার ছেলে শৌচকর্ম করতে গিয়েছিল। আমি ওই দোকানেই ছিলাম। আচমকা শৌচালয় থেকে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ছুটে গিয়ে দেখি, শৌচালয়ে বোমা বিস্ফোরণ (Bangaon Blast) হয়েছে। সেখান থেকে কয়েক ফুট দূরে ছেলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। শরীরের সামনের অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে। নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। যে বা যারা এই ধরনের নৃশংস কাজ করল, আমার নিরীহ ছেলের প্রাণ কাড়ল, তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মাদকের ব্যবসা রমরমিয়ে চলছে। কেউ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি না। কারণ, পুলিশের সঙ্গে সব সেটিং রয়েছে। ফলে, পুলিশও কিছু বলে না। বাড়ি থেকে সাইকেল, মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে। ওই দুষ্কৃতীরা শৌচালয়ে বোমা রেখেছিল। সেই বোমা ফেটেই (Bangaon Blast) এই ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহলে এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।
কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?
ঘটনার পর পরই স্থানীয় কাউন্সিলার পাপাই রাহা ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আগের থেকে এলাকায় দুষ্কৃতীর দৌরাত্ম্য অনেক কমেছে। কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে। তবে, মর্মান্তিকভাবে কিশোরের মৃত্যুর ঘটনার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours