মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে বলে গিয়েছিলেন, ভিন রাজ্য থেকে কাজ করে টাকা নিয়ে এসে বাড়ি বানাবেন। বাড়ি ফিরে বিয়ে-থা করে সংসার করবেন। বাবা-মাকে দেওয়া সেই কথা রাখতে পারলেন না দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ২২ বছরের সুমন রায়। ভিন রাজ্যে আর তাঁর যাওয়া হল না। বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) তাঁর প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। রবিবার গঙ্গারামপুর থানার লালচন্দনপুর সর্বমঙ্গলা এলাকায় বাড়িতে এল তাঁর কফিনবন্দি দেহ।
মৃত যুবকের পরিবারের পাশে বিজেপি নেতৃত্ব
গত বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতে এলাকার মোট পাঁচজন একসঙ্গে রওনা হয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমনের সঙ্গে সুমন রায় নামে আরও একজন ছিলেন, যাঁর এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে বাকি তিনজনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন জয়ন্ত রায় (১৮), বিপ্লব রায় (২১) ও মনোজ রায় (১৮)। তিনজনই দুর্ঘটনায় (Train Accident) জখম হয়েছেন। জখমদের পরিবারের লোক ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও এখনও কেউ এলাকায় ফিরে আসেননি।
এদিকে রবিবার দুপুরে গঙ্গারামপুরে মৃত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য সদস্যরা। দলের পক্ষ থেকে সবরকম ভাবে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। স্বরূপ চৌধুরী বলেন, "রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই, এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান। এই গ্রামে পাঁচজন ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিলেন। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর পাঁচজন প্রথমে নিখোঁজ ছিলেন। পরে, চারজনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। অসহায় এই পরিবারের পাশে আমরা সব সময় রয়েছি।"
কী বললেন জেলাশাসক?
এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, "শেষ পাওয়া খবর অনুয়ায়ী ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) জেলার ১৪ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা জেলাস্তর ও দুর্ঘটনাগ্রস্ত এলাকা, দুই তরফেই খোঁজ নিচ্ছি। সব পরিবারের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছি। আমাদের জেলার কোনও যাত্রী যদি থাকে, তাহলে মালদা থেকে আনার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।"
কী বললেন মৃতের পরিবারের লোকজন?
এই বিষয়ে মৃতের পরিবারের এক সদস্য বলেন, "রাজ্যে কাজ নেই। তাই, ভালো রোজগারের আশায় সুমন ভিন রাজ্যে কাজে যাচ্ছিল। কিন্তু, এভাবে সে কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফিরবে, তা ভাবতে পারিনি।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours