Birbhum: জেলাশাসকের দফতরের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির, উত্তাল বীরভূম

"নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা খুনী এবং মুখ্যমন্ত্রী প্রধান সঞ্চালক" দাবি তুলে বিক্ষোভে বিজেপি
Birbhum_(8)
Birbhum_(8)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনঃনির্বাচনের দিনই বীরভূম (Birbhum) জেলাশাসকের দফতরের সামনে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল। ভোট লুঠ-সন্ত্রাস-ছাপ্পা-হত্যালীলার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে বীরভূম পুলিশ সুপারের উদ্দেশে লজ্জাজনক স্লোগান উঠল “হায়-হায়”। এভাবেই প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাল বীরভূম বিজেপি। নির্বাচনে হিংসার বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মীরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে খালি গায়ে মাটিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। ৮ ই জুলাই রাজ্যের জেলায় জেলায় যে সন্ত্রাস হয়ছে, তার জন্য একমাত্র দায়ী নির্বাচন কমিশন। কমিশনকে এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে বলে দাবি করে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে খুনী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে খুনীর প্রধান সঞ্চালক বলে দাবি করা হয়।

বিজেপি জেলা সভাপতির বক্তব্য

বিজেপির জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ১৪ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে, সেখানে তৃণমূল নিশ্চিত হারছে বলে! অন্যান্য জায়গায় ১০০-১৫০ টি বুথে রিপোলিং হচ্ছে। কিন্তু বীরভূমে হচ্ছে না। এর কারণ হল তৃণমূল হেরে যাবে ভোটে। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের নামে একটা প্রহসন চলছে। আমরা বীরভূমবাসীরা সেই প্রহসনের ভাগীদার। বীরভূমের পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। দুবরাজপুরে বিজেপির ১০০ জনকে সরকারি কাজে বাধার অজুহাত দেখিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় মহিলা, শিশুদের উপর তৃণমূলের গুন্ডারা সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ময়নাডাল গ্রামের ভোট পড়ার সংখ্যা শূন্য দেখিয়ে প্রহসনের নির্বাচন করছে কমিশন। এই বুথের মহিলা-পুরুষ শূন্য করে নির্বাচন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য জুড়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হল। এই আগুন ছোট, এরপর বড় আগুন জ্বলবে। অভিনব ভাবে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে প্রশাস যেমন উলঙ্গ হয়েছে ঠিক সেইভাবেই বিজেপি কর্মীরা গায়ের জামা খুলে প্রতীকী প্রতিবাদ করলেন। রাজ্যের ভোট জুড়ে সকল হিংসার দায়িত্ব এই প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে। আজ নির্বাচনের নামে যে প্রহসন চলছে তাকে অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। 

আক্রান্ত সিপিএম প্রার্থী

হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে গৃহবন্দি হয়ে বসে রয়েছেন সিপিএম প্রার্থী। এরকমই ঘটনার দেখা মিলল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে। সেখানেও হচ্ছে উপ নির্বাচন। সেখানকার সিপিএমের মহিলা প্রার্থীর অভিযোগ, রবিবার রাতে এসে হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাঁর স্বামীর হাতে শনিবার চাকু মেরেছে গুন্ডারা। ভোটকেন্দ্রে গেলে, মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। এর জেরে মহিলা প্রার্থী ও তাঁর স্বামী যেতে পারছেন না ভোটকেন্দ্রে। যদিও এ নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করেননি সিপিএম প্রার্থী। তাঁর ভয়, অভিযোগ করলে ভোটের পর ঘরবাড়ি আর আস্ত থাকবে না! তাঁদেরও প্রাণ সংশয়ের মুখে পড়তে হবে। যদিও হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছন স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থী।

তৃণমূল প্রার্থী সঞ্জয় দাস বলেছেন, “সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে লোক নেই। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। খুব শান্তিতে ভোট হচ্ছে এখানে। কোনও অসুবিধা হয়নি।” এদিকে ময়ূরেশ্বরের ভোটাররাও ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে সেন্ট্রাল ফোর্স ওই এলাকায় পৌঁছেছে এবং তারপরই ভোটাররাও ভোট দিতে বের হন।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles