মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সন্ত্রাস চলছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বহু জয়ী সদস্য প্রাণ বাঁচাতে ভিন রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছে। শনিবার শিলিগুড়িতে একথা বলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি (BJP) সাংসদ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। শিলিগুড়িতে রোজগার মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন জন বার্লা। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি। পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের ভোট লুট ও সন্ত্রাস নিয়ে সরব হন। তিনি বলেন, ভোট ঘোষণা হতেই তৃণমূল সন্ত্রাস শুরু করেছিল। এখনও সেই সন্ত্রাস চলছে। দিনে দুপুরে খুন-ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেই চলেছে রাজ্য জুড়ে। প্রশাসন বলতে কিছু নেই। এসপি, ডিএম, বিডিওরা সব তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির বহু জয়ী সদস্য অসম, বিহার ও ওড়িশায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রাণ বাঁচাতে।
নির্বাচনে প্রশাসনিক আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী?
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে (BJP) হারাতে তৃণমূল ভোট লুট করেছে। তাতেও নিশ্চিত হতে পারেনি। তাই ভোটের পর থেকেই গণনার আগে পর্যন্ত রাতের অন্ধকারে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে স্ট্রং রুমের ব্যালট বাক্স বদল করেছে তৃণমূল। গণনাতেও কারচুপি করেছে। বিডিও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা পকেট ব্যালট পেপার নিয়ে ঘুরেছেন। তৃণমূল প্রার্থীরা পিছিয়ে থাকলে সেখানে সেই ব্যালট গুঁজে দিয়ে বিজেপিকে হারিয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে ভোট হলে একটি আসনে তৃণমূল জয়ী হত না, কেন বললেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী?
বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেন, বিজেপি এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সব আসনেই জিতত। কেননা গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি সব আসনেই তৃণমূলের থেকে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। একথা জানিয়ে জন বার্লা বলেন, উত্তরবঙ্গে বিজেপির (BJP) সাতজন সাংসদ রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পুরো তত্ত্বাবধানে আবার পঞ্চায়েত ভোট হলে তৃণমূল একটাও আসনে জিততে পারবে না। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। আমি জেলের ভেতরে থাকা সত্ত্বেও আলিপুরদুয়ারে একটাও পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ তৃণমূল জিততে পারেনি। সব বিজেপির দখলে ছিল। এবারও যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হতো তাহলে তৃণমূল কোনও আসনে জিততে পারত না। এটা বুঝতে পেরেই তৃণমূল ভোট লুট ও গণনায় কারচুপি করে জিতেছে। তবে আগামী দিনে মানুষ এর জবাব দেবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours