তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতায় ৮ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত মারা গিয়েছেন। উদ্বেগ বাড়ছে। কিন্তু সতর্ক হবেন কীভাবে! ডেঙ্গি (Dengue Mosquito) নিয়ে তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিল বিশেষজ্ঞ মহল।
কীভাবে চিনবেন ডেঙ্গির মশা (Dengue Mosquito)?
পতঙ্গবিদরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির রোগ বহনকারী মশার নাম এডিস অ্যাজিপ্টি (Dengue Mosquito)। এই মশা আকারে ছোট ও কালো রঙের হয়। এরা খুব বেশি উড়তে পারে না।
কীভাবে মশা (Dengue Mosquito) সংক্রমণ ছড়ায়?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির জীবাণু মশা সরাসরি বহন করে না। চার ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে রোগ সংক্রমিত হয়। মশা (Dengue Mosquito) সেই ভাইরাসকে বহন করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় DEN 1, DEN 2, DEN 3, DEN 4। এই চার প্রকারকে বলা হয় সিরোটাইপ। বিভিন্ন ভাবেই এই চার প্রকার সিরোটাইপ মানুষের শরীরের অ্যান্টিবডিকে প্রভাবিত করে। তাই একজন ব্যক্তির চার বার ডেঙ্গি হতে পারে।
কখন দাপট বাড়ে ডেঙ্গির মশার (Dengue Mosquito)?
সূর্য ওঠার দু'ঘণ্টা পর থেকেই দাপট বাড়ায় ডেঙ্গির মশা। ডেঙ্গির মশার বিপদ দিনেই বেশি বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূর্যাস্তের এক ঘণ্টা আগে থেকেই ক্ষমতা কমে এই মশার। তাই দুপুরে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির মশার উপদ্রব। তাছাড়া, শপিং মল, অডিটোরিয়ামের মতো যেসব জায়গায় পর্যাপ্ত সূর্যের আলো থাকে না, অথচ উজ্বল কৃত্রিম আলো থাকে, সেখানেও ডেঙ্গির উপদ্রব বাড়ে। তাছাড়া, গরম ও বর্ষায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এই মশার (Dengue Mosquito) জীবনকাল তিন সপ্তাহ। শীতকালে এই মশা বংশবিস্তার করতে পারে না। তাই শীতকালে ডেঙ্গি সংক্রমণ কম।
ডেঙ্গি সংক্রমণ জানান দেবে কীভাবে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির মশা কামড়ানোর তিন দিনের মধ্যেই জ্বর হয়। শরীরের উত্তাপ মারাত্মক বেড়ে যাওয়া, তার সঙ্গে মাথার যন্ত্রণা, হাত-পায়ের পেশিতে ব্যথা, বমি হওয়ার মতো উপসর্গ ডেঙ্গি সংক্রমণের জানান দেয়।
প্লেটলেট কমছে টের পাওয়া যায় কীভাবে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রক্ত পরীক্ষা করেই প্লেটলেটের হিসাব পাওয়া যায়। তবে, শরীরে কিছু উপসর্গও জানান দেয় প্লেটলেট কমছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর কিছুতেই না কমলে বাড়তি সজাগ হতে হবে। তার পাশপাশি, মাড়ি কিংবা নাক থেকে রক্তপাত হলে বুঝতে হবে প্লেটলেট কমে গিয়েছে। তাছাড়া বারবার বমি এবং বমির সঙ্গে রক্ত বেরলেও চিন্তা বাড়ে। শরীরের বিভিন্ন অংশে লাল রঙের দাগ তৈরি হলে জানান দেয় প্লেটলেট কমছে। এই রকম উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
+ There are no comments
Add yours