মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন খেলাধূলার ওপরই একটা টান ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) সুমতি নগরের রাজেশ্বরী দাসের। আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ব পুলিশ এবং ফায়ার গেমস অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় সোনা আনলেন তিনি। কানাডার মনিটাবোতে ২৮ জুলাই থেকে ৬ই অগাস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই প্রতিযোগিত। অনূর্ধ্ব ২৯ বছর মহিলাদের হাই জাম্প প্রতিযোগিতায় একের পর এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক অর্জন করেছেন সাগরের এই তরুণী। এছাড়াও ট্রিপল জাম্পে রূপো ও লং জাম্প প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জেতেন রাজেশ্বরী। বর্তমানে রাজেশ্বরী দিল্লি সিআইএসএফের হেড কনস্টেবল পুলিশ ও ফায়ার দফতরের অধীনে কর্মরত। রাজেশ্বরীর এই সাফল্যে আনন্দিত সাগরবাসী। পদক জয়ের পর সাগরে এসে পরিবারে সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
কী বললেন রাজেশ্বরী?
রাজেশ্বরী বলেন, ২০২১ সালে সিআইএসএফের চাকরিতে যোগদান করেন। পরে, অল ইন্ডিয়া পুলিশ গেমসে প্রথম হয়ে বিশ্ব পুলিশ অ্যাথেলেটিক্স খেলার সুযোগ পান। রাজেশ্বরীর কথায়, কিছু দিন আগে চিঠি পেয়েছি। ওড়িশায় সিআইএসএফের এএসআই পদে পদোন্নতির জন্য এক মাসের ট্রেনিংয়ে যেতে হবে। টুর্নামেন্ট শেষ হলে সেখানে যাব। সুযোগের অভাবে গ্রামের বহু প্রতিভা নষ্ট হয়ে যায়। আমি আগামী দিনে এই প্রতিভাধারী ছেলেমেয়েদের জন্য কাজ করতে চাই। আমার এই জয় সাগরবাসীর (Gangasagar) জয়। দেশের হয়ে অলিম্পিক ও এশিয়ান গেমসের মতন আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চাই এবং দেশের হয়ে পদক জিততে চাই।
কী বললেন পরিবারের সদস্যরা? (Gangasagar)
রাজেশ্বরীর বাবা সত্যব্রত দাসের ছোটখাট একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি চাষবাসও করেন। তিনি বলেন, খুবই অভাবের সংসারে মেয়েকে লালন পালন করেছি। মেয়ের এই জয়ে আমরা খুবই গর্বিত। আমি চাই আমার মেয়ে দেশের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল করুক। রাজেশ্বরীর মা ভরণী দাস বলেন, অভাবের সংসারের মধ্যে খুব কষ্ট করে এক ছেলে ও এক মেয়েকে বড় করে তুলেছি আমরা। রাজেশ্বরীর অদম্য ইচ্ছার কাছে অভাব হার মেনেছে। রাজেশ্বরীর এই সাফল্যে আমরা খুবই গর্বিত ও আনন্দিত।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours