মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা পঞ্চায়েত এলাকায়। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সেকেন্দ্রায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল দীর্ঘদিনের। এদিন দুপুরে সেকেন্দ্রা হাইস্কুলে নবম শ্রেণির দুই ছাত্র স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে খেজুরতলা মহিপাড়া সাঁকোর কাছে ওই দুই ছাত্রের পথ আটকায়। তারপর তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই পক্ষের মধ্যে ফের এলাকায় গণ্ডগোল হয়। ওই তৃণমূল নেতা বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে তৃণমূলের সেকেন্দ্রার অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণার পর থেকেই নতুন ও পুরানো পন্থিদের মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। তাদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রঘুনাথগঞ্জ থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীরা নেতারা?
তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ওরা দলকে ভালোবাসে না। নিজেদের আখের গোছাতেই ওরা দল করত। ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনার বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। দুটি ছাত্রকে মারধর করেছে। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা সরজেম শেখ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ -২ ব্লকের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা অসীলা বিবির আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। সরজেম শেখ বলেন, এলাকায় কী ঘটেছে জানিনা। আমি বহুদিন ওই এলাকা ছেড়ে শহরে বসবাস করি। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের সাজা দিক।
কী বললেন পঞ্চায়েতের প্রধান?
সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান পারভিন খাতুন বলেন, দুই ছাত্রের মধ্যে গণ্ডগোল। সেটাকেই কেন্দ্র সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাবাজি হয়নি। দু-একটি ড্যামেজ বোমা উদ্ধার হয়েছে মাত্র।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours