মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে! প্রত্যেক দিন আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং নদিয়া জেলার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) নতুন প্রজাতি এ বছর বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। ইতিমধ্যেই এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে নাইসেড-এর রিপোর্টে।
কী বলছে নাইসেড-এর রিপোর্ট (Dengue)?
স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে অগাস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার। মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যেই ২১ জন। আর সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির জন্যই স্বাস্থ্য ভবন থেকে নমুনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা নাইসেড-এর কাছে। নাইসেড-এর রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
নাইসেড-এর তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গির মূলত চার প্রজাতি সংক্রমণ ছড়ায়। এ বছর স্বাস্থ্য ভবনের পাঠানো ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে নাইসেড। তাতে দেখা গিয়েছে, ৯৩টি নমুনায় ডেঙ্গি ডেন থ্রি প্রজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। আর বাকিগুলিতে রয়েছে ডেন টু প্রজাতি। নাইসেড-এর তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরে ডেন টু প্রজাতির দাপট ছিল। এ বছর দাপট বাড়াচ্ছে ডেন থ্রি। তাই গত বছর যাদের ডেঙ্গি হয়েছিল, তাদের ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। পাশপাশি যাদের আগে ডেঙ্গি (Dengue) হয়নি, তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যথেষ্ট।
নতুন প্রজাতি (Dengue) কোন ঝুঁকি বাড়াচ্ছে?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির ডেন থ্রি প্রজাতি রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা কমাচ্ছে, যা ভয়ানক। ডেঙ্গি হলে প্লেটলেট কমে। তার ফলে, প্লেটলেটের জোগান দিতে হয়। কিন্তু এ বছর ডেন থ্রি-র প্রকোপে শ্বেত কণিকা কমছে। আর শ্বেত কণিকা দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ধরে রাখে। ফলে, রক্তের এই উপাদান কমার জেরে রোগীর দ্রুত অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ফলে, ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি লিভার, কিডনি কিংবা ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। যা প্রাণ সংশয় তৈরি করে।
কীভাবে জানান দেয় ডেঙ্গি (Dengue) ডেন থ্রি প্রজাতি?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর, বমি, মাথার যন্ত্রণা, হাতে-পায়ে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যা অন্যান্য ডেঙ্গির (Dengue) প্রজাতিতেও দেখা যায়। কিন্তু ডেঙ্গি ডেন থ্রি প্রজাতি হলে বমি বার বার হতে থাকে। তাছাড়া, রক্তপাত হয়। মলমূত্র ত্যাগের সময়ও রক্তপাত হয়। এছাড়াও গোটা শরীরে লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয়। পাশপাশি, দেহে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। অর্থাৎ,ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এগুলিই ইঙ্গিত দেয় দ্রুত চিকিৎসা জরুরি।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours