মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাবারের দোকান চালিয়ে কোনও রকমে সংসার চলে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার ভাটপাড়ার জয়ন্ত ভট্টাচার্যের। কাজের স্বার্থে কিস্তিতে বাইক কেনার তিনি সিদ্ধান্ত নেন। কিস্তিতে বাইক কিনতে গিয়েই যত বিপত্তি। ব্যাংকের নথি ঘেঁটে জানানো হয় তাঁর নামে ৬০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে ঋণ রয়েছে। যা শুনে আকাশ থেকে পড়েন জয়ন্তবাবু। কারণ, তিনি এই ধরনের ঋণ কোনও ব্যাংক থেকেই নেননি। পরে, তিনি খোঁজখবর করে জানতে পারেন, আসাম, দার্জিলিং, পুনে এবং বেঙ্গালুরু থেকে তাঁর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে।
প্রতারণা নিয়ে কী বললেন জয়ন্তবাবু? (Barrackpore)
জয়ন্তবাবু বলেন, আমার নামে পাসপোর্ট রয়েছে। অথচ আমি পাসপোর্ট এর জন্য জীবনে কোথাও আবেদন করিনি। আমার নামে রয়েছে লাক্সারি বাস। অথচ আমি কখনও তা দেখিনি। কারণ, কিস্তি ছাড়া বাইক কেনার মতো আমার ক্ষমতা নেই। আমি যে প্রতারিত হয়েছি তা বুঝতে পারি। কারণ, যে সব জায়গা থেকে আমার নাম করে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া হয়েছে, সেই সব জায়গায় আমি জীবনে যাইনি। তবে, এটা ঠিক কিস্তিতে বাইক কিনতে না গেলে আমি এই চক্রের হদিশ পেতাম না। প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু, তারা কোনও সাহায্য করেনি। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। পরে, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বারাকপুরের (Barrackpore) আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত এ বিষয়ে তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে।
কী বললেন প্রতারিত ব্যক্তির আইনজীবী?
জয়ন্তবাবুর আইনজীবী বলেন, জয়ন্তবাবুর নামে ১৪টি ব্যাঙ্ক থেকে ধাপে ধাপে এই ৬০ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। আসলে, যেটা জানা গিয়েছে, আসামে জয়ন্ত ভট্টাচার্য নামে কোনও এক ব্যক্তি ভাটপাড়ার জয়ন্তবাবুর কাগজপত্র নিয়েই এই প্রতারণা কারবার চালাচ্ছে। বারাকপুর (Barrackpore) আদালত বিষয়টি তো তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। জয়ন্তবাবু বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর আমার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কে যে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তা মকুব করা হোক।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours