Murshidabad: কোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল

মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট?
Murshidabad_(6)
Murshidabad_(6)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে ধাক্কা খেল তৃণমূল! মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ স্থায়ী সমিতি গঠন ঝুলে রইল। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। অবশেষে স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে ঘোষণা করায় স্থায়ী সমিতি গঠন কবে হবে তা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।

আদালত ঠিক কী নির্দেশ দিল?

সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  ডোমকলের মহকুমাশাসককে  নির্দেশ দিয়ে বলেন, পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য সভা ডেকে এখনই ভোটাভুটি করা যাবে না। আর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী বোর্ড গঠন নিয়ে ইতিমধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকলে তা কার্যকর হবে না। আদালতের নির্দেশের উপর স্থায়ী সমিতি গঠনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আপাতত আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করা যাবে না। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

আদালতে কী জানায় কংগ্রেস?

কংগ্রেসের অভিযোগ, নিজেরা স্থায়ী সমিতি গঠন করতে চেয়ে তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলেও আদালতে অভিযোগ করে কংগ্রেস। উল্লেখ্য যে, কংগ্রেসের ছ'জন সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারি এড়াতে তাঁরা পলাতক। আদালতে কংগ্রেস জানায়, ওই সদস্যরা ভোটাভুটিতে অংশ নিতে চান। স্থায়ী সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা ৪২। এই পঞ্চায়েতে খাতায় কলমে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও পরে কয়েক জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন।

রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় গত শুক্রবার বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের  লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

কী বললেন কংগ্রেস সাংসদ?

বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, পুলিশ এবং তৃণমূলের লোকেরা পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেস কর্মীদের মারধর করে উত্তেজনা তৈরিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। মিথ্যা মামলায় জেলে যাওয়া দলীয় কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles