Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

শান্তিপুরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে এ কী করল পুলিশ প্রশাসন?
Shantipur
Shantipur

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শান্তিপুর (Shantipur) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কার্তিক হালদার। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। বিজেপির টিকিটে স্ত্রী জয়লাভের পর তাঁর সঙ্গে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে। চাপের কাছে মাথানত না করায় এবার চাকরি গেল তাঁর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ একমাস অনুপস্থিত থাকার কারণেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে।

ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর স্ত্রীর নাম সুপর্ণা বর্মন। তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। দু'বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা বর্মন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেন। সুপর্ণাদেবী জয়লাভ করলেও স্বামীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। চাপ থাকলেও তিনি তৃণমূলে পরে যোগদান করেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য আমার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমার ভোটপ্রচারে একদিনও স্বামীকে পাইনি। বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু, রবিবার রাতে থানা থেকে আমার স্বামীর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি এসেছে।’’

কাজ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী?

বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কর্তিকবাবু বলেন, ‘‘এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিউটিতে অনিয়মিত যোগদানের। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে চাকরিতে কোনও ছুটি পর্যন্ত নিইনি। শান্তিপুর (Shantipur) থানার ওসি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও অন্যায় হয়নি। আমার স্ত্রী বিজেপির সদস্য বলেই আমার চাকরি চলে গেল।’’

কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

আসলে নদিয়া জেলার মধ্যে শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সঙ্গে তিনটে পঞ্চায়েতও। আর সেই জয়ের পর বিশেষ পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। ১৩টি তৃণমূলের। অভিযোগ, বোর্ড ঘোরানোর খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে নেমেছিল পুলিশ-প্রশাসনও। শুধুমাত্র বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী বলে তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন রেখেও বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীর চাকরি চলে গেল।

কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন করেই রেখেছিলেন, তাহলে আর চাপ দেওয়া কীভাবে সম্ভব! সিভিক ভলান্টিয়ারের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বিষয়। তাতে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles