Howrah: মোদি সরকারের উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার প্রাচীন কক শিল্প, উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা

উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প বাঁচাতে এগিয়ে এলো কেন্দ্র, কেন জানেন কী?
Howrah_(11)
Howrah_(11)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণ ফিরতে চলছে বাংলার প্রাচীন শাটল কক শিল্প। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Howrah) ব্যবসায়ীদের আবেদনে বিশেষ সাড়া দিয়েছেন দেশের নরেন্দ্র মোদির সরকার। উল্লেখ্য করোনা কালে, ভারত সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে স্পষ্ট হয়েছে, দেশীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা কতটা প্রয়োজন। লোকাল ফর ভোকাল অর্থাৎ আঞ্চলিক স্থানীয় উৎপাদন সামগ্রীকে প্রথম পছন্দ করার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে বিদেশী চিনা দ্রব্য ক্রয় না করার কথা সরকার পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছিল। সামজিক ও গণ মাধ্যমে সরাসরি চিনা দ্রব্য বয়কটের দাবিতে তোলপাড় হয় ওঠে। বিশেষ করে খেলার সামগ্রী এবং কালীপুজো বা দীপাবলীতে আলোক সজ্জার বিষয়ে চিনের পণ্য বয়কটের কথাও ওঠে। গত কয়েক বছরে দেশ আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে, বর্তমানে অনেকটাই সফল বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। এই অবস্থায় বাংলার কক শিল্প নিয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগের বিষয়ে সংসদে বিশেষ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। মিলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিশেষ ছাড়পত্র। শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।

কক শিল্পের প্রধান সমস্যা কী ছিল (Howrah)?

জানা গেছে, বছর খানেক আগেই বাংলাদেশ থেকে হাঁসের পালক আসা বন্ধ হলে উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প অত্যন্ত সঙ্কটে পড়ে। উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের অভাবের কথা অনেক দিন ধরেই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগর, ব্যবসায়ীরা জানিয়ে আসছেন সরকারকে। অবশেষে ইঙ্গিত মিলেছে উদ্যোগের।

মিলেছে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত

সূত্রের খবর, ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে শাটল ককের পালকের জন্য বিশেষ ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের বাণিজ্য এবং এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল উলুবেড়িয়া এলাকার সাংসদকে চিঠি দিয়ে সেই কথা জানিয়েছেন। কক শিল্পের জন্য এই খবর অত্যন্ত আনন্দের বলে জানিয়েছেন স্থানীয় শিল্পীরা। এলাকার (Howrah) সাংসদ সাজদা আহমেদ শিল্প নিয়ে ভীষণ উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

শাটল কক শিল্পের এক ব্যবসায়ী বলেন, “ পালকের জন্য বাংলাদেশ থেকে আসা আমদানিতে বেশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ছাড়ে আমাদের বেশ সুবিধা হবে। এর থেকে জিএসটি তুলে নিলে এই শিল্প আরও ঘুরে দাঁড়াবে। কেন্দ্র সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই”।

সেই সঙ্গে উলুবেড়িয়া (Howrah) চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, “এই শিল্প অত্যন্ত প্রাচীন শিল্প। পালাকের জোগান বেশি করে মিললে গোটা এলাকার অবস্থা বদলে যাবে। উলুবেড়িয়ার শিল্প আবারও একবার ঘুরে দাঁড়াবে”।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles