মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই বছর দুই মাসের এক শিশু কন্যার সোনার কানের দুল ও চাঁদির মালা খুলে নিয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হল। এরপর মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় প্রতিবেশী এক মহিলার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মহিলাকে বন্দনের ঋণ দেওয়ার জন্য অর্থ প্রয়োজন ছিল, আর তাই শিশু কন্যার সোনা খুলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার পুরাতন শিকদারপুর গ্রামে। অভিযুক্তকে অবিলম্বে ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবার। এখনও পর্যন্ত গঙ্গায় ওই শিশু কন্যার দেহ তলিয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
কীভাবে ঘটল খুনের ঘটনা?
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বাড়ির পাশে খেলা করছিল দুই বছরের একরত্তি শিশু কন্যা সাহানা খাতুন। সেই সময় প্রতিবেশী এক মহিলা নায়েমা খাতুন, সাহানাকে কোলে তুলে নিয়ে যায়। প্রথমে আদর করছে ভেবে পরিবারের সদস্যরা কিছু বলেননি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরেই শিশু কন্যাকে দেখতে না পেয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে, ওই প্রতিবেশী মহিলাকে জিজ্ঞেস করতেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
মৃত শিশুর আত্মীয়ের বক্তব্য
মৃত শিশু কন্যার পিসি সুমা খাতুন বলেন, “বন্ধনের ঋণ দেওয়ার জন্য সাহানাকে খুন করেছে নায়েমা খাতুন। আমার ভাইঝির পড়নে সোনার কানের দুল ও চাঁদির গহনা খুলে, গলাটিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে এই মহিলা। খুন করে ভাইঝিকে গঙ্গায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ এখনও নদীর তলায় রয়েছে। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে ওই খুনির কঠিন শাস্তি চাই।
খুনের তদন্তে পুলিশ
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি থেকে সোনার কানের দুল ও চাঁদির মালা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনা জানাজানি হতেই শনিবার সকাল থেকে ক্ষোভে ফুসছেন গ্রামবাসীরা। অভিযুক্ত মহিলার ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ডুবুরি টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours