মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরলের এর্নাকুলামে এক ধর্মীয় সভায় বিস্ফোরণের (Kerala Blast) ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় মৃত ১ মহিলা এবং আহত অন্তত ২০ জন। মাত্র ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে পরপর তিনবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে কনভেনশেন সেন্টার। আহতদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। বিস্ফোরণের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে বড় কোনও নাশকতার ছক বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের কোনও রকম যোগসূত্র থাকতে পারার কথাও অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছে কেরল পুলিশ।
হামস নেতার বৈঠকের পরেই বিস্ফোরণ (Kerala Blast)?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেরলে ফিলিস্তিনিপন্থীদের মিছিল এবং জনসভা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গতকাল শনিবারই ইসলামিক কট্টরপন্থী এক জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে হামাসের পক্ষাবলম্বন করে, একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, এই সভায় ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন হামাস নেতা খালেদ মাসাল। এই জঙ্গি নেতা হামাসের একজন প্রধান প্রতিষ্ঠাতা। তার ভাষণের পর, আজ রবিবার বোমা বিস্ফোরণ (Kerala Blast) ঘটল। ফলে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, এই হামাস নেতার ভাষণের সঙ্গে বিস্ফোরণের সম্পর্ক রয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য
বিস্ফোরণের ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “রবিবার সকালে প্রার্থনা চলছিল। কিন্তু আচমকাই বোমার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কনভেনশন সেন্টার। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সকলের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই সঙ্গে সেন্টারের একভাগে আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ছুটে আসে দমকল বাহিনী। অগ্নিদগ্ধ বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করা হয়।” সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রায় ২ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল কালমাসেরিরি জামরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও প্রদর্শনী সেন্টারে। গত তিনদিন ধরে “জিহোবাজ উইটনেস” নামক অনুষ্ঠান চলছিল এই স্থানে। এটি ছিল খ্রিষ্টানদের একটি বড় ধর্মীয় পবিত্র অনুষ্ঠান। এখানেই কার্যত বিস্ফোরণ ঘটেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours