মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটি ইস্যুতে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরই তিনি মহুয়াকে তীব্র আক্রমণ করেন।
মহুয়াকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?
টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রথমবার মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু, যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায়, তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়'। তিনি আরও বলেছেন, 'আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট। আমাকেও এরা ৪ বছর ধরে ডাকছে। আলাদা আলাদা কেসে নাম জড়াচ্ছে। একটা কেসে কিছু পাওয়া না গেলে আরেকটায় জড়াচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।'
অভিষেককে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)
হাওড়ায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, 'বিষয়টার মধ্যে যখন দুবাই রয়েছে, তখন উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) তো পাশে দাঁড়াবেনই। দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ প্রেম। চোখ দেখাতেও দুবাই যান, পেট দেখাতেও দুবাই যান। খেতেও দুবাই যান। আর কী কী করতে যান আমি জানি না'। মূলত এই প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক মহুয়াকে নিয়ে যে কথা বলেছেন, তার যে কোনও গুরুত্ব নেই, তা বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মহুয়া ইস্যুতে এনআইএ তদন্তের কেন দাবি জানালেন সুকান্ত?
মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির সুপারিশ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, তাতে শুধু খারিজ করার সুপারিশ করেনি কমিটি। তার সঙ্গে বলেছে যে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করানোর জন্য অর্থাৎ ইডি বা সিবিআইকে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত করানোর জন্য বলেছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মহুয়া মৈত্র সাংসদ হিসেবে লোকসভার ওয়েবসাইটের যে লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়েছেন, তা তিনি দর্শন হিরানন্দানি নামে এক ব্যবসায়ীকে দেন বলে অভিযোগ। তারপর দুবাই থেকে সেই লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লোকসভার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুকান্ত বলেন, একজন সাংসদের লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে অন্য একজনের কাছে। তাও তাঁর পিএ-র কাছে গেলে বুঝতাম। কিন্তু, জানতে পেরেছি, সেই লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে দুবাইয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস গ্যারান্টি দিতে পারবে যে এই লগ ইন আইডি দুবাইয়ের কোনও নাগরিক ব্যবহার করেননি বা দুবাইয়ের কোনও নাগরিকের উপস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়নি। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন মহুয়া মৈত্র। এর এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত'।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours