মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইকোন্ডো ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে রুপোর পদক ছিনিয়ে নিয়ে এল একসঙ্গে তিন যমজ বোন। তারা হল সুচেতা চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জিতা চট্টোপাধ্যায় ও সুপ্রীতা চট্টোপাধ্যায়। আসানসোল (Asansol) কুলটির বাসিন্দা এই তিন বোন। ডিসেরগড় এসডি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তারা। উত্তরাখণ্ডের দেরাদুন থেকে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে এই পুরস্কার জিতেছে বাংলার তিন কন্যা। এছাড়াও পৃথক ইভেন্টে এরা আলাদা করে একক ও যুগ্মভাবে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী হয়েছে। গত বছরও তিন বোন রাজস্থানের কোটা থেকে রাজ্যের হয়ে ব্রোঞ্জ পদক ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল।
কোথায় প্রশিক্ষণ (Asansol)?
কুলটির (Asansol) ডিসেরগড়ের বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক বাবা বামাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (রূপম ) ও তাঁর স্ত্রী সুনেত্রা চট্টোপাধ্যায় উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের তিন কন্যাকে চার বছর আগেই আসানসোলে তাইকোন্ডো প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। প্রশিক্ষক ছিলেন শুভ গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় এই তিন বোন স্বর্ণপদক জয়লাভ করেছিল হাওড়া থেকে। তারপরে তাদের ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে পাঠানো হয়। গত ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেরাদুনে ছিল ষষ্ঠতম ন্যাশনাল কেডেট ইউরোজি এবং পুমাসে ছিল তাইকোন্ডো চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-২৪ প্রতিযোগিতা। আয়োজক ছিল তাইকোন্ডো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া। উল্লেখ্য, এই সংস্থা অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় রয়েছে। ওই তিন ছাত্রীর বাবা-মা জানিয়েছেন, আগামী দিনে সুচেতা, রঞ্জিতা ও সুপ্রীতার লক্ষ্য ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে যাওয়া এবং পুরস্কার নিয়ে আসা।
পরিবারের বক্তব্য
মেয়েদের সাফল্যে বাবা বামাপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় (Asansol) বলেন, “এই সাফল্যের প্রধান কারণ হল মেয়েরা খুব অনুশাসনের মধ্যে থাকত। সকালে দুই ঘণ্টা এবং বিকেলে দুই ঘণ্টা করে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিত। নিজেরাই নিজেদের অভ্যাস চালিয়ে যেত। ওদের কোচ শুভ গাঙ্গুলি বিশেষভাবে সাহায্য করেছেন। অত্যন্ত নিয়মের মধ্যে দিয়ে তারা থাকত। এমনকী চকোলেট পর্যন্ত খেত না ওরা। খেলার সাফল্যের দিকে লক্ষ্য নিয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিল ওরা। ওদের অতিরিক্ত চাহিদার বিষয় তেমনভাবে চোখে পড়েনি।” একই ভাবে মা সুনেত্রা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই জয় সকলের। আমি চাই আগামী দিনে ওরা দেশের নাম আরও উজ্জ্বল করুক।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours