Calcutta High Court: হাইকোর্টের গুঁতো খেয়েই ফিরল হুঁশ, বারাকপুর পুলিশ ছুটল অভিযুক্তকে ধরতে

বারাকপুর পুলিশের সিপিকে বিচারপতির তীব্র ভর্ৎসনা!
Calcutta_High_Court
Calcutta_High_Court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির ধমক খেয়ে হুঁশ ফিরল পুলিশের। বুধবার আদালত থেকে পুলিশকে ভর্ৎসনা করে বলা হয়েছিল, ‘পুলিশ পুরো মেডেল পাওয়ার মতো কাজ করেছে!’ গত ছয়মাস ধরে যে খুনের মামলার কোনও গতি-প্রকৃতি ছিল না, বিচারপতির গুঁতোয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সক্রিয় হল। আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং খুনের ধারা যুক্ত করার কথা বলে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিয়েছে।

কী বললেন বিচারপতি (Calcutta High Court)

হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “একজনকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে নীচে ফেলা হয়েছে, এরপর নীচে নেমে পেটানো হল। এরপরও পুলিশ খুনের ধারা যোগ করার অভিযোগ পেল না! এটাই কি এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা! সেই সঙ্গে বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল বুধবার পর্যবেক্ষণ করে বলেন, “এই ঘটনায় সকল অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুলিশ কিছুই করেনি। মামলায় সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।” উল্লেখ্য এক ব্যক্তিকে ছাদ থেকে ফেলে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। বারাকপুর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু গত ছয়মাস ধরে মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। খুনের মামলায় পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি।

২৪ ঘণ্টার মধ্যেও পুলিশ তৎপর

আদালতে বিচারপতির (Calcutta High Court) ধমকের পর আজ বৃহস্পতিবার বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট রিপোর্ট দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জানায় যে গতকাল আদালত যে নির্দেশ দিয়েছিল তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হয়েছে। খুনের ওই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং খুনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্যবারাকপুর সিপি গত ছয়মাসে যা করেননি কার্যত আদালতের ধমক খেয়ে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় হয়েছেন। ফলে পুলিশ প্রশাসন যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে, তা আরও একবার স্পষ্ট বলে এলাকার মানুষ দাবি করে।

ঘটনা কী ঘটেছিল?

মামলা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনা ঘটেছিল ২০২৩ সালের ২৩ জুন, খড়দহ থানার টিটাগড়ের লক্ষ্মীঘাট এলাকায়। বাড়িভাড়াকে ঘিরে বচসার কারণে আহত হন গোবিন্দ যাদব। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ খুনের ধারা যোগ করেনি পুলিশ। এরপর মামলা গড়ায় উচ্চ আদালতে। এই মামলায় পুলিশকে তীব্র ধমক দেওয়ার ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিচারপতি (Calcutta High Court) মন্তব্যে শোরগোল পড়েছে। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles