মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহতেই পাকিস্তানের (Pakistan Election) সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। পাক দলের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরান খান বর্তমানে জেলে রয়েছেন এবং তাঁর দলকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে তেহেরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থীরা নির্দল হিসেবেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্দল প্রার্থী হিসেবে তাঁরা পাকিস্তানের সব থেকে বেশি আসনে জয়লাভ করেছেন। অন্যদিকে বিলাবল ভুট্টোর দল এবং নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ সে দেশে পারিবারিক দল হিসেবেই পরিচিত। তারা ইতিমধ্যে হাত মেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কারণেই সব থেকে বেশি আসন জেতা সত্বেও তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা সরকার গঠনে ভূমিকা নিতে পারবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ তারা এককভাবে জাদু সংখ্যা ১৩৩-এ পৌঁছাতে পারেনি।
কে কত আসন পেল?
পাকিস্তানের নির্দল সদস্যরা (Pakistan Election) অর্থাৎ তেহেরিক-ই-ইনসাফের সদস্যরা জিতেছে ১০১ আসন। পাকিস্তানের ২৬৫ টি আসনে ভোট হয়। ৭৫টি আসন জিতেছে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগ। বিলাবল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি জিতেছে ৫৪ টি আসনে। তবে এমন পরিস্থিতি পাকিস্তানে নতুন নয়। ২০০৬ সালের নির্বাচনেও সে দেশে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
গণনায় স্বচ্ছতার দাবি ইমরানের দলের
জানা গিয়েছে নওয়াজ শরিফ ও বিলাবল ভুট্টোর দল জোটে আসছে। অন্যদিকে, ইমরান খানের দল (Pakistan Election) ইতিমধ্যে গণনা স্বচ্ছতার দাবি তুলেছে। একই দাবি শোনা গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের তরফ থেকেও। যেখানে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এই দাবিকে নস্যাৎ করেছে।
কে করবে সরকার গঠন?
জানা গিয়েছে, এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নওয়াজ শরিফ, বিলাবল ভুট্টোর দল ইমরান খানের নির্দল হিসেবে জেতা কিছু সাংসদের (Pakistan Election) সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে। নওয়াজ শরিফের ভাই শেহবাজ শরিফকে ফের দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালের এপ্রিল মাসেই ইমরান খানকে দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
আরও পড়ুন: পার্টি অফিসে ধর্ষণ করেছিলেন শাহজাহান! রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours