মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে অপরাজেয় মোহনবাগান (ISL 2024)। সোজাসুজি আইএসএল সেমিফাইনালে ফিরতি লেগের ম্যাচে রবিবার যুবভারতীতে ওড়িশাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল মোহনবাগান। সমর্থকদের আনন্দে ভেসে আইএসএল ফাইনালে চলে গেল সবুজ মেরুন। এবার ট্রফি জয়ের অপেক্ষা। জেসন কামিংস এবং সাহাল আব্দুল সামাদ গোল করলেন। দুই পর্ব মিলিয়ে ৩-২ জিতে ফাইনালে উঠে গেল হাবাসের ছাত্ররা। প্রথম পর্বে তারা হেরেছিল ১-২ গোলে।
ম্যাচে মেহনবাগান
এদিন ঘরের মাঠে ৬৬ হাজার দর্শকের সামনে প্রাধান্য বেশি ছিল মোহনবাগানেরই (ISL 2024)। দিমিত্রি পেত্রাতোসের পাশাপাশি কামিংসকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন মোহনবাগানের কোচ আন্তোনিয়ো লোপেস হাবাস। কামিংস গোল করে আস্থার দাম রেখেছেন। চোট সারিয়ে দীর্ঘ দিন পরে নেমে গোল করেছেন সাহালও। এদিন ২২ মিনিটে গোলের দরজা খুলে দেন বাগানের অজি স্ট্রাইকার জেসন কামিন্স। বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের দূর্গ লক্ষ্য করে একটা শট নিয়েছিলেন পেত্রাতোস। কিন্তু, অমরিন্দরের কাছে তা প্রতিহত হয়। বাগানের ভাগ্য ভালো যে অমরিন্দর বলটা তালুবন্দি করতে পারেননি। তিনি ঠেলে সামনের দিকে পাঠিয়ে দেন। ফিরতি শটে ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন কামিংস। এরপর আক্রমণ বাড়াতে থআকে ওড়িশা। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ফের আক্রমণের ঝড় ওঠে। ৭১ মিনিটে অনিরূদ্ধ থাপার পরিবর্তে মাঠে নামলেন আবদুল সাহাল। হাবাস যেন কোনওক্রমে ম্যাচটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে চাইছিলেন। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর আরও ৭ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ৯৩ মিনিটে মোহনবাগানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করলেন সাহাল আবদুল সামাদ।
𝐁𝐄𝐃𝐋𝐀𝐌 𝐈𝐍 𝐊𝐎𝐋𝐊𝐀𝐓𝐀! 🔥#MBSGOFC #ISL #ISL10 #ISLPlayoffs #LetsFootball #MBSG #SahalAbdulSamad | @JioCinema @Sports18 @mohunbagansg @sahal_samad @SuyashU pic.twitter.com/GqCrRxlUrW
— Indian Super League (@IndSuperLeague) April 28, 2024
সাহালের স্বপ্ন
জাতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন। সেই চোট সারতে লেগে গেল প্রায় তিনটে মাস। অপেক্ষা ছিল কবে সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন তিনি। মাঠে তো নামলেনই, গোল করে মোহনবাগানকে আইএসএলের ফাইনালে তুলে দিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। ম্যাচের পর সাহাল বলেন, “মাঠে নেমে যে ভাবেই হোক দলকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কোচ বলেছিলেন, বুদ্ধি দিয়ে খেলো। মাঠে খোলা মনে থাকো। কোনও রকম চাপ মাথার মধ্যে নেবে না। আমি সেটাই করেছি। এত দিন ধরে এই মুহূর্তটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আমাকে। চোট-আঘাত ফুটবলেরই অংশ। আমি ধৈর্য রেখেছিলাম। কঠোর পরিশ্রম করেছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমরা ফাইনালে উঠেছি।” সাহাল বলেন, “মাঠে আসার পর একটাই লক্ষ্য ছিল, বক্সের মধ্যে যতটা সম্ভব থেকে সুযোগের অপেক্ষা করা। মনবীর অসাধারণ খেলেছে। আমার নয়, ওটা ওর গোল। আমরা একটা দল হিসাবে খেলি। এটা দলেরই গোল।”
আরও পড়ুন: আগামী তিন দিন তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কী বলছে আলিপুর?
তৃপ্ত হাবাস
লিগ-শিল্ড (ISL 2024) আগেই জিতেছিল সবুজ-মেরুন। এ বার ফাইনাল জিতে ‘ডাবল’ করার সুযোগ তাদের সামনে। ম্যাচের পর তৃপ্ত স্যার হাবাস। সেমিফাইনালে পরিকল্পনা কী ছিল? হাবাসের সাফ জবাব, "আমি আর আমার দল হারার আগে হারতে জানে না। ৯০ মিনিট লড়াই করতে হবে এই বার্তা দিয়েছিলাম দলকে। দল সেটা করে দেখিয়েছে। দ্রুত সম্ভব গোল করার লক্ষ্য নিয়েই আমরা নেমেছিলাম। কিন্তু ম্যাচটা অনেক লম্বা হবে, এই আশঙ্কাও ছিল। শারীরিক ভাবে আমরা অনেক ভাল জায়গায় ছিলাম। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।"
🗣l ‘প্রথম দিন থেকেই কলকাতার সঙ্গে আমার বোধহয় একটা ভালবাসার সম্পর্ক আছে’।
— Indian Super League (@IndSuperLeague) April 28, 2024
ফাইনালে ওঠার পর বললেন সবুজ-মেরুন কোচ। #ISL #ISL10 #LetsFootball #MBSGOFC #ISLonJioCinema #ISLonSports18 #ISLPlayoffs #MBSG #AntonioHabas
রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কানায় কানায় পূর্ণ ছিল যুবভারতী। শিল্ড জয়ের দিন ৬১,৭৭৭ আর সেমিফাইনালে সেটাও ছাপিয়ে গিয়ে যুবভারতী গর্জন শুনল ৬২,০০৭ সমর্থকের। তারও ভুয়সী প্রশংসা শোনা গেল হাবাসের গলায়। জানালেন, "সমর্থকদের গর্জন ফুটবলারদের এনার্জি জুগিয়েছে। বিশ্বাস ছিল আমরা পারব। এত সমর্থক পুরো ম্যাচে আমাদের পাশে থেকেছে। চাপের ম্যাচে এটা অত্যন্ত জরুরি ছিল।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours