High Court: সপাটে চড় খেল রাজ্য! পিয়ালির গ্রেফতারিতে ষড়যন্ত্র খুঁজে পেল হাইকোর্ট

পিয়ালির গ্রেফতারির মাস্টারমাইন্ড কে? জানতে চাইল হাইকোর্ট
piyali_das_mampi_sandeshkhali
piyali_das_mampi_sandeshkhali

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টে (High Court) ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস (PIyali Das) ওরফে মাম্পিকে জামিন দিল আদালত। অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ। যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা নিয়েও হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে রাজ্য। মাম্পির গ্রেফতারির ক্ষেত্রে মাস্টারমাইন্ড কে? প্রশ্ন বিচারকের।

পিয়ালির গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন আদালতের

১৪ মে বসিরহাট আদালতে জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতারি বরণ করতে হয়েছিল বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পিকে। নিম্ন আদালত (Basirhat Court) জামিন তো দেয়নি, উল্টে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। প্রতিবাদে মাম্পি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিজেপি (BJP) নেত্রীর গ্রেফতারি বেআইনি বলে দাবি করেন বিচারক। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ব্যক্তিগত বন্ডে মামলাকারিকে অবিলম্বে হেফাজত থেকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বিচারক মন্তব্য করেন, “নিম্ন আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন কেউ যদি অভিযোগকারী বা সাক্ষীদের মিথ্যা বলার জন্য হুমকি দেয় শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই ১৯৫(এ) প্রযোজ্য। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এটা স্পষ্ট বলা আছে। যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দেখেও কেউ চোখ বন্ধ করে বসে থাকে তাহলে সেটা আদালত অবমাননার শামিল।” পিয়ালির বিরুদ্ধে ১৯৫(এ) ধারায় যে অভিযোগ হয়েছে তাও স্থগিত করে দেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ভোটের পর ১৯ জুন।

হাইকোর্টে কড়া ধমক খেল রাজ্য

এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতি পিয়ালি দাসের গ্রেফতারি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন। বিশেষ করে ১৯৫(এ) ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “ম্যাজিস্ট্রেট কি করেছেন? ১৯৫(এ) ধারা নিয়ে সুপ্রিম (SC) কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। তার পরেও তিনি কীভাবে এই নির্দেশ দিলেন? এই মামলাটি কোন অফিসার দেখছেন?

আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ফের মহিলাদের বিক্ষোভ, তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতারের দাবি

রাজ্যের উদ্দেশ্যে বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, “এভাবে কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। আপনারা হয়ত এই কোর্টকে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলি অন্তত মেনে চলুন। পিয়ালিকে ফাঁসানো হয়েছে বলে মন্তব্য করে আদালত। আদালতের (High Court) এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

কীভাবে গ্রেফতার করা হয় পিয়ালি দাসকে

প্রসঙ্গত সন্দেশখালির আন্দোলন পর্বে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পি। রেখা পাত্র’র সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শাসকদলের অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন তিনি। এর পরেই শাসকদলের রোষে পড়ে যান তিনি। সন্দেশখালির যে ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তাতেও মাম্পির নাম নেওয়া হয়। এরপরেই জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর হয় তাঁর নামে। দুদিন পরে পুলিশ ৪১(এ) ধারায় নোটিশ দেয়। “১৪ই মে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনযোগ্য ধারা থাকায় জামিন নিতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে ফেলে। নতুন মামলায় নতুন ধারা পুলিশ জুড়ে দেয়। নতুন মামলায় জামিন অযোগ্য ধারা থাকায় জামিন দিতে অস্বীকার করে মহকুমা আদালত। এমনকি পুলিশের কেস ডায়েরি না দেখেই হেফাজতে পাঠিয়েছিল নিম্ন আদালত।” সওয়াল জওয়াবের সময় এই অভিযোগ করেন পিয়ালির আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles