মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর দুটি দফা শেষ হলেই এবারের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। ভোট শেষ হতে গেলেও ভোট দানের হার নিয়ে রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে অসন্তোষ এবং কিছুক্ষেত্রে শাসকদলের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। এমনকি অনেক রাজ্যে বিজেপিও কমিশনের ভূমিকা সন্দেহের উর্ধ্বে রাখেনি। ভোট দানের হার জানানোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে হয়েছে মামলা। এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “বুথে ভোটার টার্ন আউট অর্থাৎ কোন বুথে কত ভোট পড়েছে, সেই তথ্য প্রার্থী বা তাঁর এজেন্টকে ছাড়া অন্য কাউকে জানানোর কোনও আইন বা নির্দেশ নেই। কোন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে সেই তথ্য সকলকে জানাতে হবে এমন কোন আইনি বিধান নেই।” সুপ্রিম কোর্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য
প্রসঙ্গত প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে কত ভোট পড়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত ফর্ম ১৭(সি) ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (ADR)। এরই উত্তরে কমিশন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ২২৫ পাতার হলফনামায় জানিয়েছে, নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণের পর শুধুমাত্র প্রার্থী এবং তাঁর এজেন্টকেই এই তথ্য সম্বলিত ফর্ম ১৭ (সি) দেওয়ার আইনি বিধান রয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছায় ভোটার টার্ন আউট আউট নিজেদের অ্যাপ, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের পরেই বিরোধীরা হার স্বীকার করে নিয়েছে, দাবি পিকে-র
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মহেন্দ্র সিং ও অমিত শর্মা আরও জানান, “ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশনের তরফে দুই ঘন্টার ব্যবধানে প্রাপ্ত ভোটের তথ্য জানানো হয়। তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম, টিভি চ্যানেল যে তথ্য প্রকাশ করে তা অনেক সময়ই কমিশনের তথ্যের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।” নির্বাচন কমিশনের তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। যদি ফর্ম ১৭ (সি) প্রকাশ্যে চলে আসে, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে তথ্য বিকৃত হওয়া থেকে শুরু করে প্রার্থীর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এমনকি নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবার সম্ভাবনাও থাকে।
কংগ্রেসের বক্তব্য
নির্বাচন কমিশনের অবস্থানকে কড়া আক্রমণ করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের প্রধান মুখপাত্র জয রাম রমেশ বলেছেন, “যে সমস্ত রাজ্যের বিজেপি খারাপ ফল করতে পারে কিংবা আসন হারানোর ভয় রয়েছে, সেখানে প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত ভোটের হারের মধ্যে অসঙ্গতি রয়েছে। অন্যদিকে দলের আরও এক প্রবীণ নেতা তথা পেশায় আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেছেন, “যদি কত ভোট গণনা হয়েছে সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গে জানানো যায়, তাহলে কত ভোট পড়েছে তা কেন জানানো যাবে না।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours