মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বছর একাত্তরের ইমরান খান (Imran Khan)। সোমবার তাঁকে খালাস করে দেয় ইসালামাবাদ হাইকোর্ট। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা তথা পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। তবে আদালতের এহেন নির্দেশের পরেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না তাঁরা। কারণ এখনও তাঁদের মাথার ওপর ঝুলছে একাধিক মামলার খাঁড়া।
বেকসুর খালাস (Imran Khan)
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়া যায় ইমরানের। তার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হতে থাকে একের পর এক মামলা। গত অগাস্ট মাস থেকে (Imran Khan) পাকিস্তানের জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান। এদিন যে তিনটি মামলায় তাঁকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে সাইফার মামলাও। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমির ফারুক ও বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের ডিভিশন বেঞ্চ সাইফার মামলার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের সংক্ষিপ্ত রায়ে সাজা বাতিল করে তাঁকে (Imran Khan) বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
সাইফার মামলা
উল্লেখ্য, পাক প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে আমেরিকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন প্রাক্তন এই ক্রিকেটার-রাজনীতিক। সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে প্রকাশ্যে একটি নথি আনেন তিনি। এনিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। ইমরান দাবি করেছিলেন, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা ‘সাইফার’ অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়। এই মামলাই সাইফার মামলা নামে খ্যাত।
আর পড়ুন: নিরাপত্তা দিতে হবে কাউন্টিং এজেন্টদের পরিবারকেও, ফরমান নির্বাচন কমিশনের
এদিকে, ইসলামি শরিয়া আইন লঙ্ঘন করে বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় ইমরান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে অভিযুক্ত করা হয়। আবার এদিনই ৯ মে দাঙ্গার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় কুরেশিকে।প্রসঙ্গত, তোষাখানা-সহ একশোটিরও বেশি মামলার খাঁড়া ঝুলছে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মাথার ওপর (Imran Khan)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours