Suvendu Adhikari: জোড়া স্বস্তি শুভেন্দুর! মানহানির মামলায় হাজিরা নয়, জানাল হাইকোর্ট, বহাল রক্ষাকবচও

অমিত ব্যানার্জির মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছেনা বিরোধী দলনেতাকে
Suvendu_Adhikari_(1)
Suvendu_Adhikari_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একইদিনে জোড়া স্বস্তি শুভেন্দুর। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে, উচ্চ আদালতের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই মামলা পুনরায় হাইকোর্টেই ফেরত পাঠাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। অন্যদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বাবা অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়ের করা মানহানি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী। ১৬ মে শুভেন্দুর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। শুক্রবার সেই মামলায় নিম্ন আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। ফলে আর হাজিরা দিতে হবে না শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)।

রাজ্য সরকারের দায়ের করা ২৬টি FIR এ স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট


গত ডিসেম্বরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের দায়ের করা ২৬টি FIR এ স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে ওই FIRগুলিতে কেউ কোনও তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সঙ্গে তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরের সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রায়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের সিঙ্গল বেঞ্চ। এর পর বিচারপতি মান্থার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেই মামলাতেও ধাক্কা খেল তারা। এদিন সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের দায়ের করা মামলায় হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই। রাজ্যের আবেদনের দ্রুত শুনানি করে রায় দেবে হাইকোর্ট। তার পর এব্যাপারে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে ভাববে সর্বোচ্চ আদালত।

অমিত ব্যানার্জির মামলায় হাজিরা দিতে হচ্ছেনা বিরোধী দলনেতাকে


অভিযোগ নাম না করে অমিত বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তিনি বলেছিলেন, ‘দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন’। তবে কারও নাম নেননি তিনি। তাঁকেই নিশানা করা হয়েছে, এমন দাবি করে প্রথমে ক্ষমা চাওয়ার নোটিস দিয়েছিলেন অভিষেকের বাবা। পরে নন্দীগ্রামের বিধায়ক ক্ষমা না চাওয়ায় মানহানির মামলা করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles