মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গা ভাঙনে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে কড়া সমালোচনা করলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh)। গারুলিয়া পুরসভার কাঙ্গালী ঘাট এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের সেচ দফতরের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গা বাঁধানোর কাজ চলছে। সেই কাজের অবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার গারুলিয়াতে যান অর্জুন সিং। পাথরের বোল্ডার না দিয়ে শাল-বল্লা দিয়ে গঙ্গা ভাঙনের উদ্যোগ নেওয়ায় সেচ দফতরের কড়া সমালোচনা করেন অর্জুন সিং।
ফের ভাঙনের আশঙ্কা করলেন অর্জুন (Arjun Singh)
অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে বড় বড় বোল্ডার দিয়ে পার বাঁধানো উচিত। না হলে ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। শাল-বল্লা দিয়ে ভাঙ্গন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। কারণ, এর আগে এভাবে কাজ করা হলেও ফের ভাঙন হয়েছে সেই এলাকায়। দেড় কোটি টাকা খরচ করে অবৈজ্ঞানিকভাবে কাজ করছে সেচ দফতর। এতে ভাঙন মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। হুগলির চন্দননগরের উদাহরণ টেনে অর্জুন বলেন, ওই এলাকায় বোল্ডার দিয়ে কাজ করা হয়েছে বলে ভাঙন হয়নি। আর এই এলাকায় গঙ্গার পার কাঁচা বলে বার বার ভাঙন হচ্ছে। ঘটনা ক্রমে, রাজ্যের সেচ মন্ত্রী হচ্ছেন পার্থ ভৌমিক। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ২০১৯ সালের পর থেকে পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে অর্জুনের রাজনৈতিক কিছুটা দূরত্ব রয়েছে। অর্জুনের বিরুদ্ধে গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। তাঁরা দুজনেই সেচমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এমনিতেই সোমনাথ-সুবোধের সঙ্গে অর্জুনের দ্বন্দ্ব বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে সেচ দফতরের কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় পার্থ এবং অর্জুনের দূরত্ব আরও বাড়ল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের নতুন করে মাথাচাড়া দেবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours