Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই সরগরম বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলা, ফাঁসি চাইল পরিবার

মৃত বরুণ বিশ্বাসের বাবা বললেন “জ্যোতিপ্রিয়ই ছেলেকে খুন করেছে”
Jyotipriyo_Mallick_(1)
Jyotipriyo_Mallick_(1)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) বিরুদ্ধে বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলার প্রতিবাদীরা আবার সরব হয়ে উঠলেন। তৃণমূলের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হলেন মৃত বরুণ বিশ্বাসের বাবা এবং দাদা। তাঁদের দাবি, বরুণের হত্যার পিছনে আসল চক্রী হলেন তৃণমূলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। 'আমরা ওর ফাঁসি চাই', সংবাদ মাধ্যমের সামনে ঠিক এভাবেই বিস্ফোরক হল পরিবার। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার স্কুল শিক্ষক হত্যা মামলাকে ঘিরে আরও একবার সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি।

মৃত বরুণ বিশ্বাসের পরিবারের বক্তব্য (Jyotipriya Mallick)

হাবড়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই সংবাদ মাধ্যমকে মৃত বরুণ বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাস বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ফাঁসি চাই। ওই আমার ছেলেকে খুন করেছে। আর এই কথা আমার মেয়ে বলেছিল বলে, আমার মেয়ের নামে মানহানির মামলা করে দিয়েছিল এই তৃণমূল নেতা। আমার একটাই শেষ ইচ্ছা, ওর যেন ফাঁসি হয়।” সেই সঙ্গে বরুণের দাদা অসিত বিশ্বাস বলেন, “কার্যত বরুণের মৃত্যুর কোনও তদন্ত হয়নি।” বরুণের মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের কথাও বলেন তিনি। সিবিআই তদন্ত হলেই একমাত্র আসল দোষীদের চেনা যাবে। তিনি আরও দাবি করেন, "সঠিক তদন্ত হলেই স্পষ্ট হবে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।"

খুন হয়েছিলেন ১১ বছর আগে

বরুণের খুন হওয়ার পর ১১ বছর কেটে গেল। ছেলে বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুর পর থেকেই, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে সুটিয়ার বাড়িতে থাকতে পারেন না পরিবারের লোকজন। অথচ, সেই ঘরের মধ্যে বরুণের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে বরুণকে। এমনকী যে বন্দুক দিয়ে বরুণকে খুন করা হয়েছে, সেই বন্দুকটা পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছে এই তৃণমূল নেতা। অপর দিকে বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “আমরা চাই বরুণের হত্যাকারীরা ধরা পড়ুক। মামলার তদন্ত সিবিআই করুক।”

       

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles