মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালওয়ানে সংঘর্ষের পরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ভারতে নিযুক্ত সেই চিনা রাষ্ট্রদূত সান উইদং (Sun Weidong) বিদায় নেওয়ার আগে বুধবার দেখা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে। সেখানে সান বলেন, ‘‘দু’দেশের গুরুতর কোনও মতপার্থক্য না থাকলেও সীমান্তে উত্তেজনা স্বাভাবিক ঘটনা। আমি ভারতের খুব বড় ভক্ত।’’
ভারতে চিনা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেওয়ার আগে মঙ্গলবার বিদায়ী বক্তৃতায় সান বলেছিলন, ‘‘কিছু মতপার্থক্য থাকলেও ভারত-চিন সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া প্রয়োজন।’’ প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সাউথ ব্লকে বিদায়ী চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বুধবার এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, "সীমান্তে শান্তি ফিরলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, এবং তা এশিয়া এবং গোটা বিশ্বের জন্যে মঙ্গল।"
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ভালো-খারাপ হয় না, মুম্বাইয়ে রাষ্টসংঘের বৈঠকের আগে বলল ভারত
প্রসঙ্গত, ২০২০-র জুনে পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত ও চিন সেনার সম্পর্কের অবনতি হয়। এর ফলে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। সে সময় সান নয়াদিল্লিকে বলেছিলেন, "পড়শি দেশকে শত্রু ভাবা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তিক্ততা ভুলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কী ভাবে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা যায়, সেই চেষ্টাই করতে হবে দুই দেশকে।" তাঁর ওই বিবৃতির পরেই সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক এবং সামরিক স্তরে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছিল।
লাদাখ সীমান্তের ঘটনার পর নয়াদিল্লি-বেজিং আর্থিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কেও প্রভাব পরে। সে সময় একাধিক চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। সে প্রসঙ্গে সান সেই সময় বলেছিলেন, ‘‘সংঘাতের পরিস্থিতিতেও ভারতকে নিয়ে চিনের মত বদলায়নি। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কেও ছেদ পড়েনি। গোটা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোনও দেশের পক্ষেই আত্মনির্ভর হওয়া সম্ভব নয়। বিশ্বায়নের যুগে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ যত বাড়বে, ততই মঙ্গল। তবেই উন্নতিসাধন সম্ভব।"
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours