মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অধিবেশনে সংসদে পাশ হল ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। জানা গিয়েছে, এবার থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের (Birth Certificate) মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা, ভোটার তালিকায় নাম তোলা, আধার কার্ড পাওয়া, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন, সরকারি চাকরিতে যোগ, পেনশনের আবেদন করা, আইটি ফাইল প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলটি আইনে পরিণত হলে অনেক সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। পাসপোর্ট থেকে আধারের আবেদন করার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হবে এই বার্থ সার্টিফিকেট। প্রসঙ্গত এর আগে, জন্মের তারিখ এবং জন্মের স্থান প্রমাণ করার ক্ষেত্রে একাধিক নথি পেশ করতে হত। নয়া বিলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে।
জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে এই বিল
জানা গিয়েছে এই বিল জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে। এরফলে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যাবে। এর ফলে ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া (Birth Certificate) আরও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিহবহাল মহলের একাংশ। এই বিলটি গত মাসের ২৬ তারিখ সংসদে পেশ করা হয়েছিল। ১ অগাস্ট সেটি পাশ হয় সংসদের নিম্নকক্ষে।
কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী?
‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তাঁর মতে, ‘‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট’, ১৯৬৯-কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা সংশোধন করা হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবাকে আরও নাগরিক বান্ধব করে তুলতে সংশোধন প্রয়োজন। তাই এই বিল (Birth Certificate) আনা হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেই এই আইন সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করা হয়েছে। এই নয়া বিলে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের বিধান যুক্ত হয়েছে। আবার অনলাইনেই বার্থ সার্টিফিকেট ডেলিভার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours