মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তা খারাপ, নেই জল! সাঁইথিয়ায় (saithiya) প্রচারে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (satabdi ray)। যদিও শতাব্দীর বক্তব্য, “কোথাও ক্ষোভ নেই। বীরভূমের (Birbhum) গ্রামবাসীরা শুধুমাত্র তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।” ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী (Birbhum)
বীরভূমে (Birbhum) ভোটের প্রচারে বেরিয়ে কয়েকদিন যাবৎ যেখানেই যাচ্ছেন, গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ শুনতে হচ্ছে শতাব্দী রায়কে। রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির দিকে। যেখানেই যাচ্ছেন শতাব্দীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো অভিযোগের ডালা সাজিয়ে ধরছেন গ্রামবাসীরা। আবাসন প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছেন এই অভিযোগও এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বললেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি এলাকায়। বহু গ্রামে ইটের রাস্তা রয়েছে, নেই কোনও পাকা রাস্তা। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগকে মোটেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ হিসেবে দেখছেন না শতাব্দী রায়। তাঁর দাবি, “প্রার্থীকে সামনে পেয়ে আবদার করেছেন মাত্র।” এমনকী যাঁরা সেই মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তাঁদেরকে ধমক দিয়ে বসেন তৃণমূলের এই তারকা প্রার্থী।
গানে প্রচার শতাব্দীর
বীরভূমে এখন চাঁদিফাটা রোদুর। দাবদাহ উপেক্ষা করেই চলছে প্রচার। প্রচার জোরালো করতে “জিতব আমি, জিতব আমরা” গানটি লিখেছেন নিজেই। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ইতিমধ্যে গানের শুটিং সেরে ফেলেছেন তিনবারের সাংসদ শতাব্দী। হুডখোলা জিপে চলছে সেই গানে তালে তালে প্রচার। তবে গানের একটি পংক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। গানের মধ্যে রয়েছে, “এই বাংলার মা বোনেরা মমতাকেই চায়। কেন না তারা সুখে আছে মমতার ভরসায়।”
আরও পড়ুন: 'রাম নবমী আটকানোর সমস্ত রকমের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল', তোপ মোদির
বিজেপির বক্তব্য
বিরোধীদের অভিযোগ, মানুষের দয়ায় রাজনীতিবিদরা জয়ী হন। নিজের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পান। রাজনীতিবিদের ভরসায় মানুষের দিন চলে এটা ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ। মনোবল তলানিতে নাকি ঔদ্ধত্যের বহিঃপ্রকাশ! বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ধরের জবাব, “গান গেয়ে ভিডিও শুট করে মানুষের কাছে প্রচারে যেতে হচ্ছে এখন। কাজকর্ম ভালোভাবে করলে ভিডিও শুটিংয়ের দরকার পড়ত না। অহংকার বেড়ে গেলে মানুষ জবাব ভোট বাক্সে দিয়ে দেবে। বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়ী বলেন, “যে কোনও সরকার মানুষের কাছ থেকে কর আদায় করে। তাঁর একটা অংশ জনগণের মধ্যে প্রকল্প রূপে ফিরিয়ে দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রকল্প চালু করেছেন সেটাও জনগণের ট্যাক্সের টাকা। কোনও নেতা নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দিচ্ছে না। শতাব্দী হয়তো মনে করছেন তিনি বা তাঁর দলনেত্রী জনগণকে দয়া করেন।" উল্লেখ্য প্রচারের জন্য ভিডিও আগে কখনও করতে হয়নি শতাব্দীকে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours