মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরপূর্বক সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে এক দম্পতিকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গৃহবধূকে মারধর করে পুড়িয়ে খুন করা হয়। এমনকী তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রানাঘাট (Ranaghat) থানার পায়রাডাঙা এলাকায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রশাসনকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ranaghat)
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট (Ranaghat) থানার পায়রাডাঙা এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে এই দম্পতির সঙ্গে প্রতিবেশী বেশ কয়েকজন যুবক ও মহিলার মনোমালিন্য চলছিল। পরে পাড়ার ছেলেদের খেলাকে কেন্দ্র করে আবার গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় অঞ্জলি কর্মকারের বাড়িতে চড়াও হয় অভিযুক্তরা। ওই দলে মহিলারাও ছিল। এরপরই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে বাড়ি ভাঙচুর চলে। শুরু হ দম্পতিকে বেধড়ক মার। ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, প্রতিবেশী বলছেন, "প্রথমে ধরে নিয়ে এসে মারে, পালিয়ে গিয়েছিল মহিলাটা। তারপর কাঁথা কম্বল চাপিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা তো দেখিনি দূরে ছিলাম, আমরা কাছে আসতে আসতেই পালিয়ে যায়।” মৃতার স্বামী সুবল কর্মকারকেও পিছ মোড়া করে বেঁধে রাখার অভিযোগ ওঠে। পুলিশ যতক্ষণে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়, মৃত্যু হয় ওই মহিলার। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই মহিলার স্বামী সুবল কর্মকার। বর্তমানে রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় যুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে রানাঘাট পুলিশ।
"জয় শ্রীরাম" বলায় হামলা
এই ঘটনায় এদিন হাসপাতালে দেখা করতে যান রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুবল সরকার ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। "জয় শ্রীরাম" বলাতে তার ওপর এই ধরনের দুষ্কৃতী হামলা। পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রীকে মেরে ফেলা হয়েছে। যারা এই নির্মম অত্যাচার চালালো প্রত্যেকেই তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, পুলিশ প্রশাসন যদি অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি না দেয় তাহলে বৃহত্তম আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: রানিমাকে দেখতে উপচে পড়ল ভিড়, চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়
তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?
বিজেপি-র অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা পরিষদের সদস্য তথা ওই অঞ্চলের তৃণমূল নেতা দীপক বসু বলেন, ওই পরিবার বিজেপির সঙ্গে যুক্ত নয়, ভোটের আগে জগন্নাথ সরকার সস্তার রাজনীতি করছে। মস্তিষ্ক বিকৃত না হলে এই ধরনের মন্তব্য একজন প্রার্থী করতে পারে না। ওই পরিবারের স্বামী স্ত্রী দুজনেই মানসিক ভারসাম্যহীন, আর যে "জয় শ্রীরাম" স্লোগান নিয়ে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। পুলিশ গতকাল রাতেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার মূল কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours