মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজস্থানে (Rajathan Crisis) শাসক কংগ্রেসের অভ্যন্তরে অসন্তোষ নিয়ে চুপ বিজেপি (BJP) শিবির। পরিস্থিতির উপর শান্ত মাথায় নজর রাখছেন রাজস্থানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (BJP state president Satish Poonia)। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় বিজেপি শিবির উল্লসিত। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেসের অন্দরে গেহলট বনাম পাইলট বিবাদ ফের প্রকাশ্যে চলে আসায় রাজস্থানে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনেও বিজেপির সুবিধা হয়ে গেল, বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজস্থানের বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র রাঠোরের কথায়, কংগ্রেসের অশোক গেহলট অনুগামী বিধায়করা যখন ইস্তফা দেওয়ার কথা বলছেন, তখন তাঁরা নিয়ম মেনে স্পিকারের কাছে ইস্তফা দিন। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীরও উচিত বিধানসভা ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়া। রাঠোরের বক্তব্য, ‘‘অশোক গেহলট সরকারের সূচনাই হয়েছিল দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকে। বিবাদের জেরে মন্ত্রী, বিধায়করা রাজ্যের কাজ ছেড়ে হোটেলে গিয়ে বসে আছেন। যা রাজ্যবাসীর পক্ষে ঠিক নয়।’’ স্পিকারেরও উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া অভিমত রাঠোরের।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হস্তান্তর বারবার ভুগিয়েছে কংগ্রেসকে, অন্যদিকে লক্ষ্যে অবিচল বিজেপি
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া বলেন, "কংগ্রেসের সমস্যার জন্য রাজ্যবাসী কেন ভুগবেন? যদি কংগ্রেস সরকার চালাতে না পারে তাহলে তারা ছেড়ে দিক। স্পিকারেরও উচিত বিধায়করা যদি নিজেরা ইস্তফা দেন তাহলে তা গ্রহণ করা।" রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট প্রসঙ্গে সতীশ জানান, বিজেপির দরজা সচিনের জন্য কখনওই বন্ধ হয়ে যায়নি। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবে। গত দেড় বছর ধরে সচিন যেভাবে শান্ত মাথায় সবকিছু মেনে নিয়েছেন তারও প্রশংসা করে বিজেপি।
রাজস্থান নিয়ে কংগ্রেসের পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুণেওয়ালা। তাঁর ট্যুইট, ‘রাজস্থানে যুযুধান গোষ্ঠীগুলির মধ্যস্থতার ভার কমলনাথকে দেওয়া হয়েছে। গান্ধীদের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রভাবের আর কি কিছু অবশিষ্ট রয়েছে? তাঁরা কি তাঁদের অদক্ষতা স্বীকার করবেন?’ মধ্যপ্রদেশে দলের ভাঙন এড়াতে ব্যর্থ কমল নাথ। তিনি নেবেন রাজস্থানের দায়িত্ব।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours