মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে ধর্না কর্মসূচি চললে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় আপত্তি কেন? প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নব মহাকরণের সামনে রাজ্যের আপত্তি কেন, তা নিয়েও রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে আদালতে।
হাইকোর্টের প্রশ্ন
বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে নব মহাকরণের সামনে ধর্নায় বসতে চান শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীরা। পুলিশের অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেই মামলায় সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, “রাজভবনের সামনে জমায়েত হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?” ১৬ অক্টোবরের মধ্যে এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
শুনানিতে রাজভবনের প্রসঙ্গ
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারি মাসে শহিদ মিনার চত্বরে অবস্থানে বসতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল শ্রম দফতরের অস্থায়ী কর্মীদের সংগঠন। সেই আবেদন সাড়া দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পরে আর আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। ফের অবস্থানে বসতে গেলে নতুন করে মামলা করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো নতুন করে মামলা করা হয় সংগঠনের তরফে। সেই মামলার শুনানিতেই রাজভবনের প্রসঙ্গ তোলেন বিচারপতি সেনগুপ্ত (Calcutta High Court)।
৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজভবন চত্বর রাজ্যের অন্যতম হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে সব সময়ই জারি থাকে ১৪৪ ধারা। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজভবনের সামনে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে ধর্না চলছে, সে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফে।
আরও পড়ুুন: চলছে হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধ, উড়ে আসছে রকেট, আতঙ্কে ভারতীয় পড়ুয়ারা
তার পরেও চলছে তৃণমূলের ধর্না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ও একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিল্লি থেকে আদায় করতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই চলছে ধর্না। তৃণমূল যেদিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিল, সেদিন রাজভবনে ছিলেন না তিনি। রাজ্যপাল গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। পরে কলকাতায় ফিরে আজ, সোমবার অভিষেকের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি (Calcutta High Court) দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours