Calcutta High Court: কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বরখাস্ত কেন? রাজভবনের কাছে জানতে চাইল আদালত

উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন...
calcutta_highcourt
calcutta_highcourt

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আসানসোলের কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kazi Najrul Islam University) অস্থায়ী উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন সাধন। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানিতে রাজভবনের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, কী কারণে অপসারিত করা হয়েছে সাধনকে? বিচারপতি কৌশিক চন্দ জানান, রাজভবনের তরফে উত্তর পেলে তবেই শুনানি হবে এই মামলার।

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বক্তব্য...

এদিন আদালতে সাধনের আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, রাজ্যপালের নির্দেশের জেরে সম্মানহানি হয়েছে উপাচার্যের। আইনজীবী বলেন, যে কারণ দেখিয়ে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা ভিত্তিহীন। রাজভবন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে উপাচার্যের সম্মানহানি হয়েছে। এর পরেই বিচারপতি চন্দ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা জানাতে হবে। এ বিষয়ে বুধবার জেনে আসতে হবে। তার পরেই এই মামলার শুনানি হবে।

উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta High Court) শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, আধিকারিক ও ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ। ১৪ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির আখড়া করে রেখেছেন উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করা হলেও, তার হিসেব নেই। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা অনিয়মিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হয়। উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা প্রায় ২৬ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুুন: ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার, এবার কোন মামলা?

আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হলেও, সফল হননি সাধন। আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের অফিসেও ঢোকার অনুমতি পাননি তিনি। আন্দোলনের দু মাসের মাথায় উপাচার্যকে বরখাস্ত করেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হন সাধন। প্রসঙ্গত, রাজ্যপাল পদাধিকার বলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (Calcutta High Court) আচার্য। তিনিই বরখাস্ত করায় সাধন জানিয়েছিলেন, এই অপসারণ নিয়ম বহির্ভূত ও উদ্দেশ্যপূর্ণ। তিনি এও জানিয়েছিলেন, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের পরামর্শে তাঁকে এই পদে বসানো হয়েছে। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে পরামর্শ না করে অপসারণ করা হয়েছে তাঁকে। তাই উপাচার্যের পদ ছাড়বেন না তিনি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles