মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার মাঠে মারা গেল শুভেন্দুর সভায় বাধা দেওয়ার শাসকের কৌশল! ১৯ অগাস্ট পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সভা করার কথা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। ১৪ অগাস্ট এ ব্যাপারে অনুমতি চেয়েছিল পদ্মশিবির।
সভায় বাধা পুলিশেরও
বিজেপির আইনজীবীর (Calcutta High Court) দাবি, সভার ঠিক আগের দিন ওই এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এরপর সভার দিন বদল করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ঠিক হয়, সভা হবে ২৬ অগাস্ট। এবার বাধ সাধে পুলিশ। বিজেপিকে সভার অনুমতি দেয়নি তালপাতি ঘাট উপকূল থানা। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিজেপির আইনজীবীর অভিযোগ, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে প্রতি পদে বাধা দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।
শুভেন্দুর সভা ২৬ অগাস্ট
বৃহস্পতিবার আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ, ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই দিন দুপুর ২টো থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে পারবে বিজেপি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে। আদালত জানিয়ে দেয়, সামান্য অশান্তি হলেই ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। এ রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি। রাজ্যের যুক্তি মেনে অশান্তির কারণে যদি খেজুরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, তবে যাদবপুরে নয় কেন? কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, “এটা পুলিশ শাসিত রাজ্য নয় বা জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি। এভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। বিরোধীদের আটকাতে বাচ্চাদের মতো লড়াই করছেন কেন? আর অশান্তির কথা যদি বলেন, যাদবপুরে কি ১৪৪ ধারা জারি করেছেন?”
আরও পড়ুুন: “আমরা তো চাঁদেই বাস করছি”! ভারতের ‘চাঁদমারি’তে শ্লেষ পাক নাগরিকের
তাঁর মন্তব্য, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। কিন্তু কেবল বিরোধীদের আটকাতে এমন বাচ্চাদের মতো যুক্তি খাড়া করা যায় না।” বিচারপতি (Calcutta High Court) সেনগুপ্ত বলেন, “যে যে ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করা যায়, তার কোনওটাই খেজুরির ক্ষেত্রে ঘটেনি। ভাঙড়েও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খেজুরি তো ভাঙড় নয়!” বিচারপতির নির্দেশ, ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ খারিজ করা হল। আগামী ২৬ অগাস্ট খেজুরিতে সভা করতে পারবে বিজেপি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours