মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ের জোরে ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে জমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল তৃণমূলের পার্টি অফিস। এবার ২০ দিনের মধ্যে ভাঙতে হবে সেই অফিস। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একই ভাবে ঠিক কোন নেতার নির্দেশে এই জমি দখল করা হয়েছিল, তাঁর নামও জানাতে বলেছেন তৃণমূলের আইনজীবীকে। এই নির্দেশ ব্যাপক শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
অভিযোগকারিণীর বক্তব্য (Calcutta High Court)
নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার বাসিন্দা অনুশ্রী ঘোষ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “দোকান করার জন্য পলাশিপাড়া বাজারে জমিটি কিনেছিলাম আমি। সেই জমি দখল করে কার্যত পাকা পোক্ত করে একটি তৃণমূলের পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই কাজ করেছে। জমি ফেরত চেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে গেলে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি আমি। কিন্তু পুলিশ জমি উদ্ধার করা বিষয়ে কোনও রকম পদক্ষেপ করেনি। অবশেষে বেগতিক বুঝে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করতে বাধ্য হই।”
হিলি-তুরা করিডোরে কি মিলবে সবুজ সংকেত? সুকান্ত মন্ত্রী হতেই আশাবাদী জেলাবাসী
আইনজীবীর বক্তব্য
আদলাতে অনুশ্রীদেবীর আইনজীবী বলেন, “ক্ষমতায় থাকার সুবিধার অপব্যবহার করে কার্যত নিজেদের গায়ের জোরে জমি দখল করেছে তৃণমূলের নেতারা। জমির কোনও বৈধ কাগজ নেই এই তৃণমূলের নেতাদের কাছে।” আদলাতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, কার নির্দেশে এই জমি দখল করা হয়েছে। উত্তরে তৃণমূলের আইনজীবী বলেন, “জমি ফাঁকা ছিল তাই, পার্টি অফিস বানানো হয়েছে।” এরপর ব্লক ভূমি এবং ভূমি রাজস্ব আধিকারিকদের স্পষ্ট নির্দেশ দেন বিচারপতি। আগামী ২০ দিনের মধ্যে ওই জমির মালিককে জমি বুঝিয়ে দিতে হবে। তবে পরবর্তী শুনানিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম কোর্টে জানাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ঘটনায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তৃণমূল ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours